আতঙ্ক! কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, ভারত কি চুপ থাকবে?

পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তান একটি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। শনিবার, দেশটির সামরিক বাহিনী ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার ‘আবদালি অস্ত্র ব্যবস্থা’ নামক একটি ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায়।

সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, এই পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য ছিল সৈন্যদের প্রস্তুতি যাচাই করা এবং ক্ষেপণাস্ত্রটির উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম ও উন্নততর কৌশলী ক্ষমতা পরীক্ষা করা।

সম্প্রতি, ভারত-শাসিত কাশ্মীরে একটি সন্ত্রাসী হামলায় ২৫ জন পর্যটক এবং একজন কাশ্মীরির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এই ঘটনার পর থেকে উভয় দেশই পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দিয়েছে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করেছে। কাশ্মীর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান বিবাদের কারণে, উভয় দেশই এই অঞ্চলে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী ও কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। ক্ষেপণাস্ত্রটির সফল পরীক্ষা উভয় দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলটি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে একাধিকবার যুদ্ধ হয়েছে।

উভয় দেশই পুরো কাশ্মীরকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে। এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রায়ই দেখা যায়।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের কাছে খবর রয়েছে যে ভারত সম্ভবত কাশ্মীরে সামরিক অভিযান চালাতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী সীমান্তে তাদের সতর্কতা জোরদার করেছে।

উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে কাশ্মীর অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই মুহূর্তে উভয় দেশকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা উচিত। আলোচনার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব, যা এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *