বিশ্বের অন্যতম সফল বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট বাণিজ্য যুদ্ধকে একটি ‘বড় ভুল’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তাঁর মতে, বাণিজ্যকে কোনো অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। বাফেট সম্প্রতি বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের বার্ষিক শেয়ারহোল্ডারদের সভায় এই মন্তব্য করেন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতি এবং শুল্কের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।
বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, শুল্ক তাদের ব্যবসার বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বাফেটের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য নীতি এবং শুল্ক নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বাফেটের সতর্কবার্তা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বছরের প্রথম তিন মাসে বার্কশায়ারের পরিচালন মুনাফা ১৪ শতাংশ কমেছে।
একই সময়ে, তাদের বীমা আন্ডাররাইটিং ব্যবসা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
আগের বছর যেখানে এই খাতে আয় ছিল প্রায় ২৬০ কোটি ডলার, সেখানে এ বছর তা কমে ১৩৩ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এই হিসাব অনুযায়ী, ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ শতাংশ।
ওমাহা শহরে অনুষ্ঠিত এই সভায় বাফেটের বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
সভায় সাবেক ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন এবং অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুকও উপস্থিত ছিলেন।
বাফেটের এই মন্তব্যগুলো এমন এক সময়ে এসেছে যখন বাজারের অস্থিরতা এবং অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে বাফেটের এই মন্তব্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আরও সংবেদনশীল হওয়া উচিত।
কারণ, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি একে অপরের সঙ্গে জড়িত।
বাফেটের এই সতর্কবার্তা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, বিশ্ব অর্থনীতির যেকোনো পরিবর্তন তাদের অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষ করে, পোশাকশিল্পের মতো রপ্তানিনির্ভর শিল্পগুলো বাণিজ্য নীতির পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন