ভাগ্য পরিবর্তনের আনন্দ: লটারিতে কোটিপতি, কয়েক দিনের মধ্যেই হাজতে!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি প্রদেশের এক ব্যক্তি, জেমস ফার thing, লটারিতে বিশাল অঙ্কের অর্থ জিতে রাতারাতি খবরের শিরোনামে এসেছিলেন। পাওয়ারবল লটারিতে তিনি তার মা লিন্ডা গ্রিজলের সাথে মিলে প্রায় ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী যা প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি) জেতেন। কেন্টাকির ইতিহাসে এটি ছিল লটারির সবচেয়ে বড় পুরস্কারের ঘটনা।
আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই, এই বিজয়ীর জীবনে আসে অপ্রত্যাশিত মোড়। লটারি জেতার মাত্র চার দিনের মাথায়, তাকে যেতে হয় কারাগারে।
গত ২৬শে এপ্রিল, শনিবার রাতে জেমস জানতে পারেন যে তার মায়ের জন্য কেনা পাওয়ারবল টিকিটটি ভাগ্য খুলে দিয়েছে। এরপরে ২৮শে এপ্রিল, সোমবার, মা ও ছেলে দু’জনেই পুরস্কারের অর্থ সংগ্রহ করেন। সেই সময় তারা ছবি তোলেন এবং মিডিয়াতে সাক্ষাৎকার দেন।
জেমস জানিয়েছিলেন, এই অর্থ দিয়ে তিনি তার দেনা পরিশোধ করতে চান এবং মায়ের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে চান। মা লিন্ডা গ্রিজলও এই বিশাল জয়ে আনন্দিত হয়ে বলেছিলেন, তিনি স্বপ্নেও এমনটা আশা করেননি।
কিন্তু তাদের এই আনন্দ স্থায়ী হয়নি। ঘটনার চার দিনের মাথায়, ৩০শে এপ্রিল, মঙ্গলবার, জেমসকে ফ্লোরিডার একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, সেখানে একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছিল। অভিযোগ উঠেছে, তিনি হোটেলের অন্য এক অতিথির ওপর হামলা চালান এবং পুলিশের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম ইউএসএ টুডে-র খবর অনুযায়ী, জেমস ফ্লোরিডার সেন্ট পিট বিচ-এর ট্রেডউইন্ডস রিসোর্টে ছিলেন। সেখানে ঝগড়ার সূত্রপাত হলে তিনি এক ব্যক্তিকে মারধর করেন। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসা এক পুলিশ কর্মকর্তাকে তিনি লাথি মারেন বলেও অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আদালতের নথি থেকে জানা যায়, জেমসের বিরুদ্ধে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর, মারামারি ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে প্যারোলের শর্ত ভঙ্গের অভিযোগও আনা হয়েছে। প্যারোল হলো যুক্তরাষ্ট্রের একটি ব্যবস্থা যেখানে কারাবাসের পরে ভালো আচরণের শর্তে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়।
এদিকে, জেমসের বান্ধবীকেও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, জেমস এর আগেও বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মাদক ও চুরির মামলা, প্রমাণ লোপাট এবং সংগঠিত অপরাধের মতো গুরুতর অভিযোগেও তার সাজা হয়েছিল। তিনি বর্তমানে আগস্ট মাস পর্যন্ত প্যারোলে ছিলেন।
এই ঘটনার পর জেমস ফারthing ও তার বান্ধবীর আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে কিনা, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তথ্য সূত্র: পিপলস