দাদীর হাতে পোশাক! এরপর যা ঘটল, দেখলে অবাক হবেন!

শিরোনাম: ঠাকুরমার ফ্যাশন পরামর্শ: নাতির পোশাকে নতুনত্বের ছোঁয়া, ভাইরাল এই জুটি

পোশাকের ডিজাইন থেকে শুরু করে, পুরনো কাপড়ের নবরূপ দেওয়া— ফ্যাশন দুনিয়ায় ঠাকুরমা-নাতির এক ভিন্ন স্বাদের গল্প এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তুফান তুলেছে। নাতি জো ফ্রিশবার্গ এবং তাঁর ঠাকুরমা রন্না সিগেলের এই জুটি ফ্যাশন সচেতন মানুষের কাছে এখন খুবই পরিচিত।

তাঁদের তৈরি করা পোশাকের ভিডিওগুলি ইন্টারনেটে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, যা প্রজন্মের পর প্রজন্মের মধ্যেকার ভালোবাসার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

জো-এর কথায়, ছোটবেলা থেকেই ঠাকুরমা রন্না তাঁকে সাজগোজ এবং পোশাকের বিষয়ে সাহায্য করতেন। পুরনো পোশাককে নতুন রূপে দেওয়ার ক্ষেত্রে রন্নার জুড়ি মেলা ভার।

রন্নার শিল্পবোধ এবং পোশাকের কাটিংয়ের অভিজ্ঞতা জো-কে সবসময় মুগ্ধ করে। জো-এর সংগ্রহে থাকা বহু পোশাক আসলে ঠাকুরমারই বাছাই করা।

এমনকি পুরোনো কাপড়কে নতুন করে ডিজাইন করার ক্ষেত্রেও রন্নার পরামর্শ জো-এর কাছে অমূল্য।

রন্না সিগেলের শৈল্পিক মননের পরিচয় পাওয়া যায় তাঁর কাজের মধ্যে। তিনি একসময় জুয়েলারি ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেছেন।

পোশাকের নকশা তৈরি করতে সেই অভিজ্ঞতাই কাজে লাগান তিনি। জো-এর ভাষায়, “আমি তাঁর থেকেই ফ্যাশনের প্রতি ভালোবাসা পেয়েছি। তাঁর রুচি আমাকে প্রভাবিত করে।

ঠাকুরমা-নাতির এই জুটি একসঙ্গে পুরনো পোশাকের পরিবর্তন করেন, যা তাঁদের ভিডিওর মূল আকর্ষণ। তাঁদের লক্ষ্য, পুরনো কাপড়ের ব্যবহার এবং ব্যক্তিগত রুচির গুরুত্ব তুলে ধরা।

সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এই সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। রন্না জানান, নাতির সঙ্গে কাজ করতে তাঁর ভালো লাগে। এমনকি শীতকালে নাতির সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি ফ্লোরিডা থেকে ছুটে আসেন।

তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা বুঝিয়ে দেয়, ভালোবাসার কোনো বয়স নেই।

এই বিষয়ে রন্না আরও বলেন, “আমার মনে হয়, এটা খুবই অসাধারণ। জো সবসময় আমাকে ফোন করে। প্রত্যেক ঠাকুরমার কাছে এটা একটা স্বপ্নের মতো।”

এই প্রজন্মের কাছে ফ্যাশন মানে শুধু নতুন পোশাক কেনা নয়, বরং পুরোনো জিনিসকে কীভাবে নতুনভাবে ব্যবহার করা যায়, সেই ধারণা দেওয়াটাও জরুরি।

জো এবং রন্নার এই জুটি সেই বার্তাই পৌঁছে দিচ্ছেন সবার কাছে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *