অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক নির্বাচনে গ্রিন পার্টির প্রত্যাশিত ফল হয়নি, এমনটাই খবর। দলটি তাদের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আসন হারিয়েছে, এমনকি সরকার গঠনে প্রভাব বিস্তারের যে আশা ছিল, সেটিও পূরণ হয়নি।
কুইন্সল্যান্ডে লিবারেল পার্টির ভোট কমে যাওয়া এবং ডানপন্থী বিভিন্ন গোষ্ঠীর সমালোচনাই মূলত এই ফলাফলের কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচনে গ্রিন পার্টির অন্যতম মুখ, ম্যাক্স চ্যান্ডলার-ম্যাথার, কুইন্সল্যান্ডের গ্রিফিথ আসনটি হাতছাড়া করেছেন। অন্যদিকে, মেলবোর্ন আসনে দলের নেতা অ্যাডাম ব্যান্ডট অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও, তাঁর দল অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আসনেও ভালো ফল করতে পারেনি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শ্রমিক দল তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বাড়ানোর ফলে গ্রিন পার্টির সরকার গঠনে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ কমে গেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনে গ্রিন পার্টির এমন খারাপ ফলাফলের পেছনে বেশ কিছু কারণ কাজ করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, লিবারেল পার্টির ভোট কমে যাওয়া, যা সরাসরি লেবার পার্টির সুবিধা করেছে।
এছাড়া, রক্ষণশীল বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে গ্রিন পার্টির বিরুদ্ধে চালানো আক্রমণও ভোটারদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
যদিও গ্রিন পার্টি আশা করছে, তারা এখনো সিনেটে ভালো ফল করবে। দলটির পরিবেশ বিষয়ক মুখপাত্র সারা হ্যানসন-ইয়ং জানিয়েছেন, সিনেটে তাদের পুরনো ৬টি আসন ধরে রাখার সম্ভাবনা রয়েছে।
লেবার পার্টি উচ্চকক্ষে ৩০টি আসন পেতে পারে, যার ফলে কোনো আইন পাস করতে গ্রিন পার্টির সমর্থন তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।
নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর গ্রিন পার্টির নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে দলীয় প্রধান অ্যাডাম ব্যান্ডট এখনো পদত্যাগ করার কোনো ইঙ্গিত দেননি।
দলের অনেক সদস্য মনে করেন, তিনি একজন যোগ্য নেতা এবং তাঁর নেতৃত্বেই দলের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, অস্ট্রেলিয়ার এই নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য শিক্ষণীয় হতে পারে। বিশেষ করে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জোট গঠন এবং ভোটারদের কাছে নিজেদের আদর্শ তুলে ধরার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান