অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচনে লেবার পার্টির অগ্রগতি, সরকার গঠনের সম্ভাবনা।
অস্ট্রেলিয়ায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লেবার পার্টি উল্লেখযোগ্য আসনে জয়লাভ করেছে, যা তাদের সরকার গঠনের সম্ভাবনা বাড়িয়েছে। তবে, দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে তাদের বেগ পেতে হবে। এই নির্বাচনে বিভিন্ন রাজ্যে আসন বদল হয়েছে এবং প্রধান দলগুলোর ভোটের হারেও পতন দেখা গেছে।
লেবার পার্টির পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পথে।
নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, লেবার পার্টি বেশ কয়েকটি আসনে জয়লাভ করতে চলেছে। চূড়ান্ত ফলাফল এখনো আসেনি, তবে ধারণা করা হচ্ছে লেবার পার্টি অন্তত ৮৫টি আসন পেতে পারে। এর ফলে, তারা সরকার গঠনের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেছে।
সিনেটের চিত্র।
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে লেবার পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। সিনেটে লেবার পার্টি ২৭ জন সদস্য পেতে পারে, যেখানে প্রধান বিরোধী দল কোয়ালিশনের ২৬ জন সদস্য থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। গ্রিন্স পার্টির ১১ জন এবং অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র সদস্যরা ৬টি আসন পেতে পারে। এই অবস্থায় লেবার পার্টিকে সরকার গঠন করতে হলে গ্রিন্স পার্টি অথবা অন্য কোনো দলের সমর্থন প্রয়োজন হবে।
আসন পরিবর্তনের ধারা।
নির্বাচনে নিউ সাউথ ওয়েলস, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া, কুইন্সল্যান্ড এবং তাসমানিয়ার মতো রাজ্যগুলোতে বিভিন্ন আসনে পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে শহর ও গ্রামীণ উভয় অঞ্চলের আসন রয়েছে। ব্র্যাдон, ব্যাস ও লেচহার্ডের মতো কিছু আসনে ভোটারদের মধ্যে দল বদলের প্রবণতা দেখা গেছে।
দুই প্রধান দলের ভোটের হারে পতন।
এই নির্বাচনে লেবার পার্টির ভালো ফল করা সত্ত্বেও, অস্ট্রেলিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে দুটি প্রধান দলের (লেবার ও কোয়ালিশন) ভোটের হারে দীর্ঘমেয়াদী পতন অব্যাহত রয়েছে। এর কারণ হিসেবে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, ভোটাররা এখন ছোট দলগুলোর দিকে ঝুঁকছেন। যদি ভোটের এই প্রবণতা বজায় থাকে, তবে দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি ভোটার লেবার বা কোয়ালিশন প্রার্থীকে ভোট নাও দিতে পারে।
ভোট গণনায় জটিলতা।
ছোট দলগুলোর ভোটের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোট গণনাতেও কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। নির্বাচনের আগে, নির্বাচন কমিশন (AEC) সাধারণত চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য প্রার্থীদের একটি তালিকা তৈরি করে। কিন্তু ছোট দলগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ার কারণে দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান কমে আসায় অনেক আসনে চূড়ান্ত ফলাফল পেতে বেশি সময় লাগছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান