বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী পেগি সিগারের কাছে প্রশ্ন করুন!

নব্বই বছর বয়সে উপনীত হতে যাওয়া কিংবদন্তি লোকসংগীত শিল্পী পেগি সিগার বিদায় জানাচ্ছেন সঙ্গীত জগৎকে। দীর্ঘ কর্মজীবনে ফোক গানের জগতে অসামান্য অবদান রাখা এই শিল্পী তাঁর শেষ অ্যালবাম ‘টেলিয়োলজি’ নিয়ে আসছেন এবং মে মাসের ১৪ তারিখ থেকে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে তাঁর বিদায়ী সফর শুরু করতে চলেছেন।

এই উপলক্ষে, পাঠকদের জন্য থাকছে একটি বিশেষ সুযোগ। আপনারা এই কিংবদন্তি শিল্পীর জীবন, গান, সামাজিক কার্যক্রম এবং অন্যান্য অভিজ্ঞতা সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারবেন।

পেগি সিগার ১৯৩০ সালে নিউইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন একজন সঙ্গীতজ্ঞ এবং মা ছিলেন আধুনিকতাবাদী সুরকার।

কিংবদন্তি ফোক শিল্পী পিট সিগার ছিলেন তাঁর ভাই। সাত বছর বয়স থেকে পিয়ানো বাজানো শুরু করা পেগি পরবর্তীকালে গিটার, ব্যানজো, অটোহর্প, ডুলসিমার এবং কনসারটিনা বাজানো শিখেছিলেন।

১৯৫৬ সালে তিনি লন্ডনে পাড়ি জমান এবং সেখানে ‘দ্য র‍্যাম্বলার্স’ নামক একটি লোকসংগীত দলের সাথে গান ও ব্যানজো বাজানো শুরু করেন। সেখানেই তাঁর পরিচয় হয় পরবর্তীকালে জীবনসঙ্গী হওয়া লোকসংগীত শিল্পী ইওয়ান ম্যাককলের সঙ্গে।

ইওয়ান ম্যাককল তাঁর জন্য ‘দ্য ফার্স্ট টাইম এভার আই স ইউর ফেস’ গানটি লিখেছিলেন। গানটি পরবর্তীতে রবার্টা ফ্ল্যাকের কণ্ঠে জনপ্রিয়তা লাভ করে।

১৯৮৯ সালে ম্যাককলের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পেগি সিগার তাঁর সঙ্গে গান গেয়েছেন। পরবর্তীকালে তিনি আইরিন পাইপার-স্কটকে বিয়ে করেন।

পেগি সিগার শুধু একজন শিল্পীই নন, তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট নারীবাদী এবং বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী। পরিবেশ রক্ষা, যুদ্ধবিরোধী আন্দোলন এবং শ্রমিক অধিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতেও তিনি সোচ্চার ছিলেন।

তাঁর ‘আই’ম গনা বি অ্যান ইঞ্জিনিয়ার’ গানটি নারীবাদী আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে আজও পরিচিত।

এই বিদায়ী সফরে অংশগ্রহণের আগে, পেগি সিগারের গান, তাঁর সামাজিক কার্যক্রম, ব্যক্তিগত জীবন এবং অন্যান্য বিষয়ে জানার জন্য প্রশ্ন পাঠানোর সুযোগ রয়েছে। আগামী ৭ই মের মধ্যে আপনারা আপনাদের প্রশ্ন পাঠাতে পারেন।

শিল্পী স্বয়ং সেই প্রশ্নের উত্তর দেবেন এবং ১৬ই মে তারিখে তা প্রকাশিত হবে।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *