অস্ট্রিয়ার এক রহস্যময় মমি: কিভাবে টিকে ছিলেন ১৮ শতাব্দীর যাজক?
বহু বছর আগের কথা, অস্ট্রিয়ার একটি প্রত্যন্ত গ্রামের চার্চের নিচে, অপ্রত্যাশিতভাবে জলের ছিদ্র দেখা দেয়। আর এই ঘটনার সূত্র ধরেই জানা যায় এক অসাধারণ কাহিনীর।
সেই চার্চের নিচে পাওয়া যায় অষ্টাদশ শতাব্দীর এক ধর্মযাজকের মমি। স্থানীয় লোকেরা তাকে ‘বায়ু-শুকনো যাজক’ বলতেন। সম্প্রতি, বিজ্ঞানীরা এই মমির রহস্য উন্মোচন করেছেন এবং কিভাবে তিনি এত বছর ধরে অক্ষত ছিলেন, সেই বিষয়ে নতুন তথ্য জানিয়েছেন।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ওই যাজকের শরীরে কাপড়, কাঠ এবং জিঙ্ক ক্লোরাইডের মতো উপাদান পাওয়া গেছে। তাদের মতে, এই উপাদানগুলির কারণেই মমিটি আজও টিকে আছে।
এটি বিজ্ঞান জগতে আগে কখনো দেখা যায়নি। এছাড়াও, যাজকের মৃত্যুর কারণ হিসেবে একটি ক্যাপসুল আকারের বস্তুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল, যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রহস্য ছিল। নতুন গবেষণায় সেই রহস্যের জটও খুলেছে, জানা গেছে আসল সত্য।
শুধু তাই নয়, বিশ্বজুড়ে চলছে নানান বৈজ্ঞানিক গবেষণা। ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্কের নিচে বিজ্ঞানীরা বিশাল আকারের একটি ম্যাগমা স্তরের সন্ধান পেয়েছেন।
এই স্তরটিকে প্রকৃতির চাপ কমানোর ভালভ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর কাছাকাছি একটি অদৃশ্য আণবিক মেঘ আবিষ্কার করেছেন।
এটি নক্ষত্র এবং গ্রহ কীভাবে গঠিত হয়, তা বুঝতে সাহায্য করতে পারে। মেঘটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইওস’, যা প্রায় ৪০টি চাঁদের সমান জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এবং এর ভর সূর্যের চেয়ে ৩,৪০০ গুণ বেশি।
এই সময়ের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হল, প্রাচীন কালের দুটি অদ্ভুত প্রাণী—একিডনা এবং প্লাটিপাসের বিবর্তন নিয়ে নতুন তথ্য। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ক্রিওরিকটেস ক্যাডবেরি নামক একটি জীবাশ্ম এই দুটি প্রাণীর পূর্বপুরুষ হতে পারে, যা একশ’ কোটিরও বেশি বছর আগে জল এবং স্থলে বাস করত।
জীবাশ্মের কিছু বৈশিষ্ট্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, একিডনা জল থেকে স্থলে বিবর্তিত হয়েছে এবং তাদের অদ্ভুত পায়ের গঠন সে কারণেই হয়েছে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। সম্প্রতি, বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সাপের বিষের প্রতিষেধক তৈরির একটি নতুন উপায় খুঁজে পাওয়া গেছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার এক ব্যক্তি, টিম ফ্রিড, বহুবার সাপের বিষ নিজের শরীরে প্রবেশ করিয়ে কয়েকটি নিউরোটক্সিনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করেছেন। বিজ্ঞানীদের একটি দল তাঁর রক্তের নমুনা বিশ্লেষণ করে অ্যান্টিবডি তৈরি করেছেন, যা ১৯ প্রজাতির বিষাক্ত সাপের বিষের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।
যদিও বিজ্ঞানীরা জনসাধারণকে সতর্ক করেছেন, এই ধরনের কাজ করা অত্যন্ত বিপজ্জনক।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা সূর্যের কার্যকলাপ নিয়ে নতুন ছবি প্রকাশ করেছেন। হাওয়াইয়ের মাউইয়ের হালেকলা আগ্নেয়গিরির উপরে অবস্থিত একটি টেলিস্কোপের মাধ্যমে এই ছবি তোলা হয়েছে।
ছবিতে সূর্যের ভেতরের বায়ুমণ্ডলের অস্থিরতা স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। সূর্যের এই কার্যকলাপ সৌর আবহাওয়ার ওপর প্রভাব ফেলে, যা আমাদের গ্রহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও, অ্যামাজন তাদের ‘প্রজেক্ট কুইপার’-এর জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে, যা স্পেসএক্সের স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইটের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে।
কোস্টারিকার কাহিটা ন্যাশনাল পার্কের কাছে পাওয়া দুটি জাহাজের ধ্বংসাবশেষ আসলে জলদস্যুদের জাহাজ ছিল না, এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মন্টানার বিজ্ঞানীরা মাইসেলিয়াম ব্যবহার করে স্বয়ং-মেরামতযোগ্য বিল্ডিং তৈরির উপাদান তৈরি করেছেন, যা ভবিষ্যতে বাড়ি বানানোর কাজে লাগতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন