ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় কঠিন পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রবিবার তিনি জানান, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা যে হামলা চালিয়েছে, তার জবাব দেওয়া হবে।
টেলিগ্রাম মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, অতীতেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, ভবিষ্যতেও নেওয়া হবে। তবে বিস্তারিত এখনই বলা সম্ভব নয়।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটা একবারে হবে না, অনেকগুলো আঘাত আসবে।
গত কয়েকদিনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা তাদের ফ্লাইট বাতিল করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিমান সংস্থা।
ডেল্টা এয়ারলাইন্স নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর থেকে তেল আবিবের উদ্দেশ্যে রবিবার তাদের ফ্লাইট বাতিল করে। একইসঙ্গে সোমবার তেল আবিব থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে তাদের ফিরতি ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে।
লুফথানসা গ্রুপ, যার মধ্যে লুফথানসা, সুইস, ব্রাসেলস এবং অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইন্স অন্তর্ভুক্ত, তারা মঙ্গলবার পর্যন্ত তেল আবিবগামী ও সেখান থেকে ছেড়ে আসা সব ফ্লাইট বাতিল করেছে। ইতালীয় বিমান সংস্থা আইটিএ বুধবার পর্যন্ত ইতালি থেকে ইসরায়েলের ফ্লাইট বাতিল করেছে।
এয়ার ফ্রান্স রবিবার তাদের ফ্লাইট বাতিল করে সোমবারের ফ্লাইটে যাত্রীদের টিকিট পরিবর্তন করে দিয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রায়ানএয়ার রবিবার তাদের ফ্লাইট স্থগিত করলেও সোমবার তাদের ফ্লাইটসূচি বহাল আছে।
এই হামলার দায় স্বীকার করে হুতি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারেহ জানান, ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর এখন বিমান চলাচলের জন্য নিরাপদ নয়।
ক্ষেপণাস্ত্রটি বিমানবন্দরের কাছে আঘাত হানে, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের শেষের দিকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েল ও লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর হামলা চালানো শুরু করে।
এর আগে, গত মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুতিদের সামরিক সক্ষমতা হ্রাস করতে এবং লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালানো থেকে বিরত রাখতে ব্যাপক হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান