চেলসি’র কাছে পরাজিত হলো চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (English Premier League) সদ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া লিভারপুলকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে চেলসি। খেলার শুরুতে এনজো ফার্নান্দেজের গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। এরপর জ্যারেল কোয়ানসার আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়।
খেলার একেবারে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে গোল করে চেলসির জয় নিশ্চিত করেন কোল পালমার। লিভারপুলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক।
ম্যাচটি ছিল অনেকটা অপ্রত্যাশিত ফলাফলের জন্ম দেওয়া। কেননা, লিভারপুল এর আগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় তাদের মধ্যে যেন একটা আত্মতুষ্টি কাজ করছিল। খেলার মাঠে তাদের সেই আলস্যপূর্ণ মনোভাব স্পষ্ট দেখা গেছে।
চেলসির আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা বেশ কয়েকবার সুযোগ তৈরি করলেও, ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলের দেখা পাচ্ছিল না। অন্যদিকে, লিভারপুলের খেলোয়াড়দের মধ্যে তেমন কোনো আগ্রাসী মনোভাব দেখা যায়নি।
চেলসির কোচ এনজো মারেস্কার অধীনে দলটি ধীরে ধীরে তাদের খেলার ধরনে পরিবর্তন আনছে। রক্ষণভাগে তারা বেশ শক্তিশালী হলেও, আক্রমণের ধার কিছুটা কম ছিল। তবে এই ম্যাচে তারা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, লিভারপুলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছিল স্পষ্ট। মাঝমাঠের খেলোয়াড়রা তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পারফর্ম করতে পারেননি।
ম্যাচে চেলসির হয়ে এনজো ফার্নান্দেজ এবং কোল পালমার দারুণ খেলেছেন। ফার্নান্দেজ মাঝমাঠে দলের খেলা নিয়ন্ত্রণ করেছেন, এবং পালমার পেনাল্টি থেকে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন।
লিভারপুলের হয়ে ভ্যান ডাইক ছাড়া আর কোনো খেলোয়াড় নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।
এই জয়ের ফলে, চেলসি আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সম্ভাবনা আরও জোরালো করল। অন্যদিকে, লিভারপুলের জন্য এই পরাজয় একটি সতর্কবার্তা।
তাদের দল পুনর্গঠনের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। যদিও তারা লীগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, তাদের খেলায় আরও অনেক উন্নতির অবকাশ রয়েছে।
তথ্য সূত্র: The Guardian