ভিসা পাওয়ার পরেই তরুণীকে কুপ্রস্তাব! কলেজে কর্মীর ভয়ঙ্কর কাণ্ড, স্তম্ভিত সবাই!

বোস্টনের একটি কলেজে ভর্তি সহকারী হিসেবে কর্মরত একজন কর্মীর বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে যৌন ব্যবসার উদ্দেশ্যে প্রলুব্ধ করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তের নাম জ্যাকব হেনরিকস, যিনি ইমানুয়েল কলেজে সহকারী ভর্তি পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, তিনি এক ছাত্রীর ক্যাম্পাস পরিদর্শনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২৭ বছর বয়সী হেনরিকস একজন ১৭ বছর বয়সী ছাত্রীকে অর্থের বিনিময়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন। হেনরিকস তার অফিসের সুযোগ নিয়ে ছাত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেন এবং পরে তাকে বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর বার্তা পাঠান।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, হেনরিকস ওই ছাত্রীকে “কিছু মজা” করার জন্য ৪০০ ডলার দিতে চেয়েছিলেন এবং তার কাছে কিছু পর্নোগ্রাফিক ছবি ও ভিডিও আছে বলেও জানান। এরপর তিনি মেয়েটিকে পাঁচটি পর্নোগ্রাফিক ভিডিও পাঠান এবং “দলবদ্ধ যৌনতায়” অংশ নিতে চান কিনা জানতে চান।

হেনরিকস নিজেকে পরিচয় দিতে এবং কিভাবে তিনি ছাত্রীর ফোন নম্বর পেলেন, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি। মেয়েটি তার ফোন নম্বর ব্লক করার পর হেনরিকস ইমেলের মাধ্যমে তাকে পুনরায় প্রস্তাব দেন। তদন্তে জানা যায়, হেনরিকস ঘটনার সময় ওই ছাত্রীর ডিজিটাল স্কুল প্রোফাইল ৪৭ বার দেখেছেন।

এছাড়াও, হেনরিকস আরও কয়েকজন ছাত্রীকে একই ধরনের বার্তা পাঠিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) বর্তমানে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও ভুক্তভোগী আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে।

ইমানুয়েল কলেজ কর্তৃপক্ষ ঘটনার কথা জানতে পেরে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এই ঘটনার জন্য “গভীরভাবে দুঃখিত, ক্ষুব্ধ এবং মর্মাহত।” কলেজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা তাদের কর্মীদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত হেনরিকসকে সম্ভবত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে, যার মধ্যে কমপক্ষে ১০ বছরের কারাদণ্ড বাধ্যতামূলক। এছাড়াও, তাকে প্রায় আড়াই লক্ষ ডলার জরিমানা করা হতে পারে। আগামী ৫ই মে (তারিখটি পরিবর্তন করা হয়েছে) বোস্টনের একটি আদালতে হেনরিকসকে হাজির করার কথা রয়েছে।

যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তি বা এই ধরনের ঘটনার শিকার কোনো পরিচিত ব্যক্তির জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা এবং হটলাইন রয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।

তথ্য সূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *