মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির উদীয়মান তারকা, মেরিল্যান্ডের গভর্নর ওয়েস মুরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি এবং জাতীয় ঐক্যের উপর জোর দেওয়া তার ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করে তুলছে।
২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়নের জন্য তিনি অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় এসেছেন।
গভর্নর মুরের রাজনৈতিক উত্থান এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সম্প্রতি তিনি লিংকন ইউনিভার্সিটিতে এক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন, যেখানে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
একই সঙ্গে, তিনি সাউথ ক্যারোলাইনা রাজ্যের ডেমোক্রেটদের এক সম্মেলনে ভাষণ দেবেন, যা ২০২৮ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গভর্নর মুর ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যে একটি নতুন পথের দিশা দেখাচ্ছেন। তিনি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মোকাবিলায় দলের কৌশল কেমন হওয়া উচিত, সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিচ্ছেন।
তার ভাষণে দেশপ্রেমের ধারণাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়, যা অনেক ডেমোক্রেটের মধ্যে নতুন করে আগ্রহ তৈরি করেছে।
গভর্নর মুর মনে করেন, দেশের উন্নতির জন্য সবার একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন। তিনি মেরিল্যান্ডে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি, শিক্ষানবিশ কর্মসূচি এবং মাদক সংক্রান্ত অপরাধের জন্য ক্ষমা ঘোষণার মতো পদক্ষেপ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশপ্রেম মানে দেশের ইতিহাসকে অস্বীকার করা নয়। তার মতে, দেশপ্রেমকে যারা বিভেদ সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এবং যারা দেশের প্রতি আনুগত্য জানাতে দ্বিধা বোধ করে, তাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়েছে।
ওয়েস মুরের রাজনৈতিক জীবন বেশ বর্ণময়। তিনি মেরিল্যান্ডের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ গভর্নর এবং কোনো রাজ্যের তৃতীয় কৃষ্ণাঙ্গ গভর্নর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
গভর্নর মুর মনে করেন, বর্তমান প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ থাকলেও, তিনি কোনো বিষয়ে আপস করতে রাজি নন।
আগামী বছর মেরিল্যান্ডে তার পুনর্নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে, তবে এরই মধ্যে ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।
যদিও তিনি সরাসরি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি, তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
তথ্য সূত্র: সিএনএন