জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (International Court of Justice – ICJ) সম্প্রতি সুদানের দায়ের করা একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা খারিজ করে দিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE) সরকারের বিরুদ্ধে আনা গণহত্যা বিষয়ক অভিযোগের শুনানি শেষে আদালত এই সিদ্ধান্ত জানায়।
সুদানের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, দারফুর অঞ্চলে সংঘটিত গণহত্যায় আমিরাত সরকার আরএসএফ (Rapid Support Forces) নামক একটি আধা-সামরিক গোষ্ঠীকে সহায়তা করেছে।
আদালতের ভাষ্য অনুযায়ী, এই মামলার রায় দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত এখতিয়ার তাদের নেই। অর্থাৎ, সুদানের পক্ষ থেকে উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমিরাতের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের নেই।
বিচারকরা সোমবার এক ভোটাভুটির মাধ্যমে মামলাটি বন্ধ করে দেন।
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে সুদান সরকার এই মামলাটি দায়ের করে। তাদের মূল অভিযোগ ছিল, সংযুক্ত আরব আমিরাত দারফুরে সংঘটিত গণহত্যার সঙ্গে জড়িত এবং আরএসএফ বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে তারা গণহত্যা কনভেনশনের শর্তাবলী লঙ্ঘন করেছে।
তবে, শুরু থেকেই আমিরাত সরকার সুদানের এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তাদের দাবি, তারা কোনোভাবেই এই ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত নয়।
এই মামলার প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে দেখা যায়, দারফুর অঞ্চলে সংঘটিত সহিংসতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগের কারণ। এই অঞ্চলে মানবিক বিপর্যয় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
এমতাবস্থায়, সুদানের দায়ের করা এই মামলাটি আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে, আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে বিষয়টি নতুন মোড় নিয়েছে।
বর্তমানে, এই ঘটনার পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে, আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই রায়ের ফলে সুদান সরকার হয়তো তাদের পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হবে।
একইসঙ্গে, আমিরাত সরকার তাদের অবস্থান আরো দৃঢ় করতে পারে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন