বিশ্বের সবচেয়ে সুখী শহর কোনটি? ডেনমার্কের কোপেনহেগেন, সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সূচকে এই খেতাব জিতেছে।
জীবনযাত্রার গুণাগুণ বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ‘ইনস্টিটিউট ফর কোয়ালিটি অফ লাইফ’ প্রতি বছর এই তালিকা প্রকাশ করে।
তাদের ‘হ্যাপি সিটি ইনডেক্স’-এ শহরগুলোর মানুষের সুখের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করা হয়।
এই সূচকে শহরগুলোর শিক্ষা ব্যবস্থা, অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি, অর্থনীতি, পরিবেশ সুরক্ষা এবং সবুজ স্থানের সুযোগের মতো বিষয়গুলো দেখা হয়।
এছাড়াও, স্বাস্থ্যসেবা, সুশাসন এবং জীবনযাত্রার মান কেমন, সে সম্পর্কে ধারণা নিতে শহরবাসীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলা হয়।
সব মিলিয়ে, তারা ৮২টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে এই তালিকা তৈরি করে।
এবারের তালিকায় কোপেনহেগেন শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরটি শিক্ষা ও উদ্ভাবনে দারুণভাবে মনোযোগ দেয়।
এছাড়া, স্বচ্ছ প্রশাসন, পরিবেশের সুরক্ষা এবং উন্নত স্বাস্থ্যসেবার কারণেও শহরটি এগিয়ে।
কোপেনহেগেনে স্বাস্থ্য ও ভালো জীবনযাত্রাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
এখানে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং প্রতি ১০০০ জন বাসিন্দার জন্য ৪.৪ জন ডাক্তার রয়েছেন।
এখানকার মানুষের গড় আয়ু ৭৯.৯ বছর।
কর্মজীবনের ভারসাম্য বজায় রেখে এখানে সপ্তাহে গড়ে ৩৭ ঘণ্টা কাজ করার চল রয়েছে।
এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ এবং তৃতীয় স্থানে সিঙ্গাপুর।
গত বছর এই তালিকায় প্রথম স্থানে ছিল ডেনমার্কের আরহুস শহর, এবার তারা চতুর্থ স্থানে।
এরপর বেলজিয়ামের শহর এন্টওয়ার্প পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
ডেনমার্ককে সম্প্রতি বিশ্বের দ্বিতীয় সুখী দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এই তালিকায় ডেনমার্কের ৭টি শহর শীর্ষ ৫০-এর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোর মধ্যে নিউইয়র্ক ১৭তম এবং মিনিয়াপলিস ৩০তম স্থানে রয়েছে।
তবে, ‘ইনস্টিটিউট ফর কোয়ালিটি অফ লাইফ’ মনে করে, কোনো একটি শহরকে দীর্ঘ সময় ধরে তার নাগরিকদের সুখ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সেরা হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না।
তারা বরং নির্দিষ্ট বছরে কোনো শহরের বিশেষ অর্জন বা উন্নতির দিকগুলো তুলে ধরে।
তাদের মূল লক্ষ্য হলো, বিশ্বজুড়ে সুখ বাড়ানোর ইতিবাচক প্রবণতাগুলো খুঁজে বের করা এবং সেগুলোকে উদযাপন করা।
তথ্য সূত্র: ট্র্যাভেল অ্যান্ড লেজার