পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণের পর, ক্যাথলিক চার্চের নতুন নেতা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ভ্যাটিকান সিটি। বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীদের আধ্যাত্মিক নেতা নির্বাচনের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া ‘পোপ নির্বাচনের সভা’ বা ‘পাপাল কনক্লেভ’ নামে পরিচিত।
আগামী বুধবার থেকে সিস্টিন চ্যাপেলে এই গোপনীয় প্রক্রিয়া শুরু হবে, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কার্ডিনালরা মিলিত হবেন নতুন পোপ নির্বাচনের জন্য।
পোপ নির্বাচনের সভা শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি একটি বিশাল রাজনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক তাৎপর্য বহন করে। বিশ্বের প্রায় ১.৪ বিলিয়ন ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীর প্রধান নির্বাচিত হন এই সভায়।
প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস, যিনি ২০১২ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন, গত ২১শে এপ্রিল ৮৮ বছর বয়সে মারা যান। তাঁর প্রয়াণের পর স্বাভাবিকভাবেই এখন সবার দৃষ্টি নতুন পোপ নির্বাচনের দিকে।
কার্ডিনালরা গোপন কক্ষে মিলিত হয়ে নতুন পোপ নির্বাচন করেন। এই প্রক্রিয়া সাধারণত কয়েক দিন থেকে শুরু করে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে।
সিস্টিন চ্যাপেলের ভেতরে বাইরের কারও প্রবেশাধিকার থাকে না। কার্ডিনালরা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেন এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পরেই নতুন পোপ নির্বাচিত হন।
পোপের পদটি শুধু ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রেও এর গভীর প্রভাব রয়েছে। তাই, নতুন পোপ নির্বাচন বিশ্বজুড়ে আলোচনার বিষয়।
এই নির্বাচনের মাধ্যমে একদিকে যেমন ক্যাথলিক চার্চের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে, তেমনি বিশ্ব শান্তি, মানবিকতা এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এর প্রভাব অনুভূত হবে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা