ক্ষমা চাইলেন ফ্রান্সের মন্ত্রী! লিভারপুল সমর্থকদের নিয়ে যা বললেন, শুনলে চমকে যাবেন

ফরাসি সরকারের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যারাঁ দারমানিন, যিনি বর্তমানে ফ্রান্সের আইনমন্ত্রী, প্যারিসে অনুষ্ঠিত ২০২২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের বিশৃঙ্খলার জন্য লিভারপুল সমর্থকদের ‘বলির পাঁঠা’ বানানোর অভিযোগে ক্ষমা চেয়েছেন। খেলা চলাকালীন সময়ে এবং এর অব্যবহিত পরে, ফরাসি পুলিশ লিভারপুল সমর্থকদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে এবং তাদের উপর খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে।

২০২২ সালের ২৮শে মে, স্তাদ দ্য ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচের সময়, লিভারপুল সমর্থকেরা অভিযোগ করেন যে, তাদের জীবন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ছিল। সংকীর্ণ পথ এবং গেটের কারণে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে আসা হাজার হাজার মানুষের মধ্যে চরম ভিড় তৈরি হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, অনেক সমর্থক টিকিট থাকা সত্ত্বেও স্টেডিয়ামের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি।

পরে জানা যায়, নিরাপত্তা এবং টিকিট চেকিংয়ের ক্ষেত্রেও চরম গাফিলতি ছিল। এর ফলে, টিকিটবিহীন কিছু লোকও স্টেডিয়ামে প্রবেশ করে, যারা লিভারপুল সমর্থকদের উপর হামলা চালায়।

ম্যাচের পর, ফরাসি সরকার, পুলিশ এবং উয়েফা (UEFA) এই ঘটনার জন্য লিভারপুল সমর্থকদের দায়ী করে, তাদের বিরুদ্ধে জাল টিকিট নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ আনে। তবে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দারমানিন স্বীকার করেন যে, এই ঘটনার জন্য লিভারপুল সমর্থকদের দোষারোপ করা ভুল ছিল।

তিনি বলেন, “আমি তাদের ‘বলির পাঁঠা’ বানিয়েছিলাম এবং এর জন্য আমি লিভারপুল সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইছি।

এই ঘটনার পরে, লিভারপুল ওয়েস্ট ডার্বির সংসদ সদস্য ইয়ান বার্ন এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “প্যারিসের ঘটনার পরে দারমানিনের আচরণ ছিল ক্ষমাহীন। তিনি একবারও লিভারপুল সমর্থকদের পাশে দাঁড়াননি।

তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনার জন্য দারমানিনের ক্ষমা চাওয়াটা লিভারপুল সমর্থকদের প্রতি অবিচার।

আগেও, ঘটনার এক মাস পর দারমানিন এই ঘটনার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন, তবে সরাসরি লিভারপুল সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাননি। ঘটনার শিকার হওয়া ক্ষতিগ্রস্ত সমর্থকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের একটি আদালত রায় দিয়েছে।

খেলাধুলার জগতে এমন ঘটনা নজিরবিহীন নয়, যেখানে কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে খেলোয়াড় এবং সমর্থকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়। এই ঘটনার মাধ্যমে, কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতা এবং সত্য প্রকাশের গুরুত্ব আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *