যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভ, অর্ধশতাধিক গ্রেপ্তার।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে (University of Washington) বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা।
গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ব্যবহৃত অস্ত্রের সরবরাহকারী হিসেবে বোয়িং-এর ভূমিকার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ হয়। সোমবার (তারিখ যুক্ত করতে হবে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ভবনে (engineering building) প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা এই প্রতিবাদ জানান।
এরপর কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে অর্ধশতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রকৌশল ভবনে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা ভবনটির বাইরে দুটি স্থানে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ভবনের প্রবেশ ও বাহির হওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়।
বিক্ষোভকারীরা ভবনটির নামকরণ করতে চেয়েছিল গাজায় নিহত এক কিশোর প্রকৌশল শিক্ষার্থীর নামে। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, বোয়িং কোম্পানি এই প্রকৌশল ভবনে ১ কোটি ডলার অনুদান দিয়েছে।
বিক্ষোভের কারণে গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ, সম্পত্তি নষ্ট করা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।
তাদের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, ‘স্টুডেন্টস ইউনাইটেড ফর প্যালেস্টাইনিয়ান ইক্যুয়ালিটি অ্যান্ড রিটার্ন’ (Students United for Palestinian Equality and Return – SUPER) নামের একটি ছাত্র সংগঠন এই বিক্ষোভের আয়োজন করে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই ছাত্র সংগঠনটিকে ‘সাসপেন্ডেড’ ঘোষণা করেছে এবং তাদের বিবৃতিকে ‘জাতিবিদ্বেষী’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, এ ধরনের ধ্বংসাত্মক আচরণ কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না এবং তারা সব ধরনের জাতিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান বজায় রাখবে।
ওয়াশিংটন স্টেট টহল দলের মুখপাত্র ক্রিস লফটিস (Chris Loftis) জানান, ক্যাম্পাস পুলিশ এবং সিয়াটল পুলিশের সঙ্গে র্যাপিড ডেপ্লয়মেন্ট টিম (Rapid Deployment Teams) বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।
তথ্য সূত্র: CNN