হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-কার্নি বৈঠক: উত্তেজনার পারদ!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠকটি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকের দিকে শুধু যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা নয়, বরং পুরো বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে।

কারণ, এই বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক এবং বাণিজ্যের গতিপথ কেমন হবে, সেই ইঙ্গিত পাওয়া যাবে।

সম্প্রতি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনাকে ‘অসম্ভব’ বলে উড়িয়ে দিলেও, অতীতে তিনি দেশটির সার্বভৌমত্ব দুর্বল করতে অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের হুমকি দিয়েছিলেন। এমনকি তিনি কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্যে পরিণত করারও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি, নির্বাচনের প্রচারণার সময় ট্রাম্পের এই ধরনের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন। তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ট্রাম্প কানাডাকে ‘ধ্বংস করতে চান, যাতে আমেরিকা তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে’।

কার্নি স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন, এমনটা কখনোই হতে দেওয়া হবে না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কার্নির এই কঠোর অবস্থান সত্ত্বেও, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিবেচনায়, তিনি সম্ভবত ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় কিছুটা নমনীয় হবেন।

কারণ, কানাডার অর্থনীতি অনেকাংশে যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল। তবে, বাণিজ্য আলোচনার ক্ষেত্রে কার্নি কতটা ছাড় দেবেন, সেদিকেও সবার নজর থাকবে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই বৈঠকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দুই নেতার মধ্যেকার ‘সম্পর্ক’। কারণ, ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগে কার্নি প্রতিটি সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার মধ্যেকার সম্পর্ক বাংলাদেশের জন্য সরাসরি তাৎপর্যপূর্ণ না হলেও, বিশ্ব বাণিজ্যের প্রেক্ষাপটে এর গুরুত্ব রয়েছে।

বিশেষ করে, ইউএসএমসিএ (USMCA) বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার সময়, এর প্রভাব বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে পড়তে পারে। তাই, এই বৈঠকের ফলাফল বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *