ডেলিভারুকে কিনে নিচ্ছে ডোরড্যাশ: বিশ্বজুড়ে ফুড ডেলিভারিতে বিশাল পরিবর্তন!

যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, ডোরড্যাশ, প্রায় ৩.৯ বিলিয়ন ডলারে (বর্তমান বিনিময় হারে যা প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকার বেশি) তাদের ব্রিটিশ প্রতিপক্ষ ডেলিভারু-কে অধিগ্রহণ করতে রাজি হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে খাদ্য সরবরাহ ব্যবসার প্রসারের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই চুক্তির ফলে ডোরড্যাশের ব্যবসা ইউরোপ, এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে আরও বিস্তৃত হবে।

ডেলিভারুকে অধিগ্রহণের জন্য ডোরড্যাশ তাদের প্রতিটি শেয়ারের জন্য ১৮০ পেন্স (প্রায় ২৪০ মার্কিন সেন্ট, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ টাকার মতো) পরিশোধ করবে।

গত ২৪শে এপ্রিল, অর্থাৎ প্রস্তাব ঘোষণার আগের দিনের শেয়ারের বাজারমূল্যের চেয়ে ২৯ শতাংশ বেশি দামে এই চুক্তি সম্পন্ন হচ্ছে।

ডোরড্যাশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অধিগ্রহণ তাদের আন্তর্জাতিক বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম পদক্ষেপ।

এর আগে, তারা ২০২২ সালে হেলসিঙ্কিতে অবস্থিত ওল্ট এন্টারপ্রাইজেসকে কিনেছিল। ডেলিভারুকে অধিগ্রহণের পর ডোরড্যাশ বিশ্বজুড়ে ৪০টির বেশি বাজারে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

ডোরড্যাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টনি জু এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ডোরড্যাশ এবং ডেলিভারু একসঙ্গে মিলে কী করতে পারে, সেই সম্ভাবনা নিয়ে আমি খুবই उत्साहित।”

ডোরড্যাশ এবং ডেলিভারু উভয় প্রতিষ্ঠানই ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

স্মার্টফোন প্রযুক্তির মাধ্যমে রেস্টুরেন্ট এবং গ্রাহকদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে খাদ্য সরবরাহ করার ধারণা নিয়ে তারা যাত্রা শুরু করে। ডেলিভারু বর্তমানে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডসহ মোট ৯টি দেশে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে।

শুধু যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে ২০২৩ সালে তাদের ব্যবসার ৫৯ শতাংশ ছিল।

এছাড়াও ফ্রান্স, ইতালি, বেলজিয়াম, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত এবং কাতারেও ডেলিভারুর ব্যবসা রয়েছে।

খাদ্য সরবরাহ ব্যবসার বাজারে সম্প্রতি এটি দ্বিতীয় বৃহৎ চুক্তি।

এর আগে, প্রযুক্তি বিনিয়োগ সংস্থা প্রোসাস ৪.১ বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৪.২৯ বিলিয়ন ডলার) দিয়ে আমস্টারডাম-ভিত্তিক জাস্ট ইট টেকঅ্যাওয়ে ডটকম-কে কিনে নেয়।

এই চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপে তাদের খাদ্য সরবরাহ ব্যবসার প্রসার ঘটবে।

এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশের খাদ্য সরবরাহ বাজারে এর প্রভাব কেমন হবে, তা এখন দেখার বিষয়।

বর্তমানে, বাংলাদেশে ফুড ডেলিভারি সেবায় পাঠাও ফুড, ফুডপান্ডা-এর মতো বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম সক্রিয় রয়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারের এই পরিবর্তনের ফলে স্থানীয় ব্যবসায়গুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে কিনা, সেদিকেও নজর রাখা দরকার।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *