অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে (New South Wales) ৬ ও ৭ বছর বয়সী দুই নাতির মৃত্যুর ঘটনায় তাদের ৬৬ বছর বয়সী ঠাকুরমাকে ‘গুরুতর অভিযোগ’-এর মুখোমুখি হতে হতে পারে।
খবর অনুযায়ী, গত সোমবার, ৫ই মে, পুলিশ ‘উদ্বেগ’ সংক্রান্ত একটি অভিযোগের ভিত্তিতে কুনাবারাব্রান (Coonabarabran)-এর একটি বাড়িতে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই বাড়িতে পৌঁছানোর পর তারা ৬ এবং ৭ বছর বয়সী দুই শিশুকে মৃত অবস্থায় খুঁজে পায়।
ঘটনাস্থল থেকে ঠাকুরমাকে আটক করা হয় এবং চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বর্তমানে তিনি একটি মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তদন্তকারীরা এই ঘটনাটিকে ‘ডাবল মার্ডার’ হিসেবে দেখছেন।
সিনিয়র পুলিশ অফিসার অ্যান্ড্রু হল্যান্ড সাংবাদিকদের জানান, মহিলাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার পরেই সম্ভবত তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হবে।
তিনি আরও জানান, শিশুদের মায়ের থেকে তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং ঠাকুমার কাছেই তারা থাকত।
জানা গেছে নিহত শিশুদের মধ্যে একজনের ক্যান্সার ছিল।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনার পরে ওই মহিলা আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মহিলাকে ডাবো (Dubbo) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, পরে তাকে অরেঞ্জের (Orange) একটি মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়।
ঘটনাটি কুনাবারাব্রান এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে শোকের ছায়া ফেলেছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহত শিশুদের পরিবারের সদস্যদের শোক জানানো হয়েছে এবং তাদের প্রতি সমবেদনা জানানো হচ্ছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এই ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর’ আখ্যা দিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন এবং স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এই মুহূর্তে তাদের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানানোর মতো অতিরিক্ত কোনো তথ্য নেই।
তথ্য সূত্র: পিপল