ব্রিটিশ অভিজাত শ্রেণির খাদ্যভ্যাস: সাদামাটা খাবারের আভিজাত্য
খাবার মানুষের রুচি, সংস্কৃতি আর সামাজিক অবস্থানের প্রতিচ্ছবি। বিশেষ করে সমাজের উচ্চশ্রেণির মানুষের খাদ্য নির্বাচন যেন এক বিশেষ ধরনের সংস্কৃতি বহন করে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ব্রিটিশ অভিজাত শ্রেণির মানুষদের খাদ্যগ্রহণের কিছু বিশেষ দিক। তাদের খাদ্য তালিকায় থাকে সাদামাটা কিছু খাবার, যা অনেকের কাছে হয়তো খুব একটা আকর্ষণীয় নাও হতে পারে।
আসুন, সেই বিষয়ে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
ঐতিহ্যগতভাবে, ব্রিটিশ অভিজাত শ্রেণির খাদ্য ছিল তাদের সামাজিক মর্যাদার প্রতীক। তারা সাধারণ মানুষের থেকে নিজেদের আলাদা করে দেখানোর জন্য খাদ্য নির্বাচনে বিশেষ কিছু বিষয় অনুসরণ করতেন।
তাদের খাদ্যতালিকায় প্রায়ই দেখা যায়, আলু সেদ্ধ, মাংসের কিমা বা ভাজাভুজি জাতীয় খাবারের অনুপস্থিতি। শোনা যায়, তারা টার্নিপ জাতীয় সবজিকে গরুর খাদ্য হিসেবে গণ্য করত।
এই ধরনের খাবারগুলো তাদের কাছে ‘নিম্ন শ্রেণির’ মানুষের খাদ্য হিসেবে পরিচিত ছিল।
তাহলে, অভিজাত শ্রেণির খাদ্যতালিকায় কী থাকে? তাদের পছন্দের তালিকায় প্রধানত দেখা যায়—সসেজ, আলু ভর্তা, চিকেন ও লিকের পাই, জ্যাম রোলি-পলি, স্পঞ্জ কেক এবং চিকেন স্যান্ডউইচ।
তাদের খাবারে রঙের ক্ষেত্রেও থাকে বিশেষ পছন্দ। সাদা ও হালকা বাদামি রঙের খাবারগুলোই যেন তাদের বেশি পছন্দের।
মশলার ব্যবহারেও তারা বেশ রক্ষণশীল। তাদের খাদ্য তালিকায় রসুন এবং পার্সলে’র মতো সাধারণ মশলার ব্যবহার দেখা যায়, যা তাদের খাদ্য রুচির একটি বিশেষ দিক।
এই খাদ্যাভ্যাস কি স্বাস্থ্যকর? পুষ্টিবিদদের মতে, এই খাদ্যাভ্যাস ভালো এবং খারাপ দুই দিকেই প্রভাব ফেলে।
অন্যদিকে, তাদের খাদ্যতালিকায় মাংস ও কেকের আধিক্য থাকে।
তবে, এই খাদ্যাভ্যাসের কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে। শোনা যায়, এক ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ গভীর তেলে ভাজা মার্স বার খেয়েছিলেন, যা ছিল তাদের চিরাচরিত খাদ্যরীতির বাইরে।
খাদ্যাভ্যাস একটি সংস্কৃতির অংশ। বিভিন্ন সমাজে খাদ্যগ্রহণের ধরন ভিন্ন হতে পারে।
এই প্রতিবেদনটি কোনো বিশেষ শ্রেণির প্রতি কোনো ধরনের বিদ্বেষ বা সমালোচনা করার উদ্দেশ্যে লেখা হয়নি। বরং, এটি একটি ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের খাদ্য পছন্দের একটি চিত্র তুলে ধরে।
তথ্য সূত্র: The Guardian