ভয়ঙ্কর বিপদ! ক্যান করা বিনসে মারাত্মক এলার্জি, দ্রুত সতর্কতা!

যুক্তরাষ্ট্রে একটি খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্বেগের খবর পাওয়া গেছে, যা আমাদের সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেখানকার খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ (এফডিএ) -এর ঘোষণা অনুযায়ী, “ইয়েলোস্টোন ব্রাউন সুগার মোলাসেস বেকড বিনস” নামক একটি খাদ্যপণ্যের প্রায় সাড়ে চার হাজার কার্টন বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর কারণ হলো, এই খাবারে এমন একটি উপাদান পাওয়া গেছে যা প্যাকেজের লেবেলে উল্লেখ করা হয়নি এবং যা গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।

এই পণ্যটি তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশভিলে অবস্থিত ভিইটিটি ফুড গ্রুপ। জানা গেছে, যাদের সোয়া (soy) জাতীয় খাবারে এলার্জি রয়েছে, তাদের জন্য এই পণ্যটি জীবন-হুমকি স্বরূপ হতে পারে।

এফডিএ জানিয়েছে, এই ধরনের এলার্জি আক্রান্ত ব্যক্তিরা যদি এই খাবার গ্রহণ করেন, তাহলে তাদের গুরুতর প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

এই “ইয়েলোস্টোন” বেকড বিনস-এর প্রতিটি ক্যানের ওজন ছিল ১৫ আউন্স এবং সেগুলোর উৎপাদন বা মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ছিল ২০২৮ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি।

ওয়ালমার্ট, হাই-ভি এবং মেইজার-এর মতো বড় দোকানে এই পণ্যটি বিক্রি করা হচ্ছিল। বর্তমানে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২৩টি রাজ্যে এই পণ্যটি বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

  • অ্যারিজোনা
  • কলোরাডো
  • ডেলাওয়্যার
  • ফ্লোরিডা
  • জর্জিয়া
  • ইলিনয়
  • আইওয়া
  • কানসাস
  • কেনটাকি
  • লুইজিয়ানা
  • মিশিগান
  • মিসিসিপি
  • মিসৌরি
  • নিউ হ্যাম্পশায়ার
  • নিউ ইয়র্ক
  • নর্থ ক্যারোলিনা
  • ওহাইও
  • ওরেগন
  • পেনসিলভানিয়া
  • টেনিসি
  • টেক্সাস
  • উটাহ
  • এবং ভার্জিনিয়া।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্য নিরাপত্তা এবং এলার্জি সচেতনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে সোয়া এলার্জি একটি সাধারণ সমস্যা।

সোয়া ছাড়াও আরও অনেক ধরনের খাবার, যেমন – দুধ, ডিম, মাছ, বাদাম, এবং শস্য জাতীয় খাবারেও অনেকের এলার্জি হতে পারে। তাই, খাবার কেনার সময় প্যাকেজের উপাদান তালিকা ভালোভাবে দেখে নেওয়া প্রয়োজন।

যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই পণ্যটি বাজার থেকে তুলে নেওয়ার কারণে এখন পর্যন্ত কারও অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

ক্ষতিগ্রস্ত ক্রেতাদের পণ্যটি ফেরত দিয়ে সম্পূর্ণ মূল্য ফেরত নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এই ঘটনার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা এবং উপাদান সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা আরও একবার প্রমাণিত হয়। আমাদের দেশেও, খাবারের উপাদান সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক নিয়মকানুন মেনে চলা উচিত।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *