স্মোকি রবিনসনের স্ত্রী: কে এই ফ্রান্সেস, কেন তিনি এত গুরুত্বপূর্ণ?

শিরোনাম: স্মোকি রবিনসনের স্ত্রী ফ্রান্সেস: খ্যাতি, সম্পর্ক এবং বিতর্কের আড়ালে

ষাটের দশক থেকে গানের জগতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা শিল্পী স্মোকি রবিনসন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছে।

সম্প্রতি, তাঁর স্ত্রী ফ্রান্সেস রবিনসন (বিবাহপূর্ব নাম গ্ল্যাডনি)-এর নাম জড়িয়েছে একটি গুরুতর মামলায়। আসুন, জানা যাক এই খ্যাতিমান দম্পতির জীবন এবং তাঁদের ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক সম্পর্কে।

স্মোকি রবিনসন এবং ফ্রান্সেসের পরিচয় প্রায় দুই দশকের পুরোনো। ফ্রান্সেস পেশায় একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার।

তাঁদের প্রথম দেখা হয় লস অ্যাঞ্জেলেসে। তবে প্রেমের সম্পর্ক শুরুর আগে তাঁরা বন্ধু ছিলেন।

জানা যায়, ২০০২ সালের মে মাসে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

কিছুদিন আগে, স্মোকি রবিনসনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন, মারধর, মিথ্যা কারাবাস, লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা এবং কর্মক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিবেশ তৈরির অভিযোগ এনেছেন তাঁরই প্রাক্তন চারজন কর্মচারী।

লস অ্যাঞ্জেলেস সুপিরিয়র কোর্টে দায়ের করা এক অভিযোগের ভিত্তিতে এই খবর জানা যায়।

সেই মামলায় ফ্রান্সেস রবিনসনের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগকারীদের দাবি, ফ্রান্সেস নাকি স্মোকির “যৌন অসদাচরণের” বিষয়ে অবগত ছিলেন এবং “সঠিক ব্যবস্থা” নিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

ফ্রান্সেস রবিনসনের সঙ্গে স্মোকি রবিনসনের সম্পর্ক সবসময়ই আলোচনার বিষয়।

তাঁদের সম্পর্কের শুরুটা ছিল বন্ধুত্বের মধ্য দিয়ে।

স্মোকি একবার বলেছিলেন, লস অ্যাঞ্জেলেসে তাঁদের একটি বন্ধু ছিল, যারা একসঙ্গে বিভিন্ন উৎসবে মিলিত হত।

দু’জনের জন্মদিন একই দিনে (ফেব্রুয়ারি মাসের ১৯ তারিখ)। একবার জন্মদিনের পার্টিতে বন্ধুদের সঙ্গে একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন তাঁরা।

সেখানেই প্রথম কোকোনাট চিংড়ি খান তাঁরা।

এর পরেই তাঁদের মধ্যে অন্যরকম একটি সম্পর্ক তৈরি হয়।

স্মোকি মজা করে বলেন, “আমি ফ্রান্সেসকে বিয়ে করেছি কোকোনাট চিংড়ির জন্য।”

বিয়ের আগে তাঁরা তাঁদের সম্পর্ক গোপন রেখেছিলেন।

স্মোকি জানিয়েছিলেন, তাঁদের বন্ধুদের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ার ভয়ে ফ্রান্সেস বিষয়টি গোপন রাখতে চেয়েছিলেন।

পেশাগত জীবনে ফ্রান্সেস একজন সফল ইন্টেরিয়র ডিজাইনার।

স্মোকি রবিনসনের ক্যালিফোর্নিয়ার বাড়িটি তিনিই ডিজাইন করেন।

এছাড়াও, তাঁদের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে ‘স্কিনফোনিক’ নামে একটি স্কিন কেয়ার (ত্বকের যত্নের) পণ্য।

২০১৬ সালে তাঁরা এই ব্যবসা শুরু করেন।

শুধু ব্যবসা নয়, সম্পর্কের গভীরতা বোঝাতে তাঁরা তৈরি করেছেন ‘স্মোকি রবিনসন ওয়াইনস’।

এই ওয়াইন প্রস্তুতকারক কোম্পানির সদর দপ্তর ফ্রান্সেসের শহর পিটসবার্গে।

তবে সম্প্রতি তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনে এসেছে বড় ধরনের বিতর্ক।

স্মোকির বিরুদ্ধে আনা যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ফ্রান্সেসের নামও জড়িয়েছে।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, প্রাক্তন কর্মীরা ক্ষতিপূরণ বাবদ কমপক্ষে ৫০,০০০ ডলারের বেশি দাবি করেছেন।

এই মামলার কারণে স্মোকি রবিনসনের খ্যাতি এবং তাঁর দীর্ঘদিনের সঙ্গীত জীবনে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।

বিষয়টি এখন আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *