মার্কিন আদালতে রুমিয়াকে নিয়ে ঐতিহাসিক রায়! অবশেষে মুক্তি?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আপিল আদালত সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ রায়ে নির্দেশ দিয়েছে, তুরস্কের নাগরিক এবং টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি শিক্ষার্থী রুয়েসা ওজতুর্ককে লুইজিয়ানার একটি ডিটেনশন সেন্টার থেকে ভার্মন্টে সরিয়ে নিতে হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে, ওজতুর্কের কারা হেফাজতে থাকার বিষয়টি নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

আদালতের নথি অনুযায়ী, ওজতুর্ককে আটকের মূল কারণ ছিল গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের নেওয়া পদক্ষেপের সমালোচনা করে একটি নিবন্ধ লেখায় তার ভূমিকা। এছাড়া, মার্কিন নিরাপত্তা বিভাগ (Department of Homeland Security) বিনা প্রমাণে তার বিরুদ্ধে হামাসকে সমর্থন করার অভিযোগ এনেছিল।

মামলার শুনানিতে বিচারকরা সরকারের এই যুক্তির বিরোধিতা করেন যে, ওজতুর্ককে লুইজিয়ানাতেই রাখা উচিত। তারা স্পষ্ট করে জানান, ভার্মন্টেই তার মামলার শুনানি হওয়া উচিত। আদালত আরও উল্লেখ করেছেন, ওজতুর্ককে ভার্মন্টে সরিয়ে নিলে সরকারের কোনো ক্ষতি হবে না।

ওজতুর্কের আইনজীবী এশা ভান্ডারি জানিয়েছেন, “রাজনৈতিক মত প্রকাশের কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করে আটকে রাখা উচিত নয়। রুয়েসা ওজতুর্ককে আর একটি দিনও আটকে রাখাটা অন্যায়। আমরা আদালতের কাছে কৃতজ্ঞ, যারা তাকে তার কমিউনিটি এবং আইনজীবীদের থেকে আলাদা করার সরকারের প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছে।”

আদালতের এই রায়টি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি বাকস্বাধীনতা, বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি আচরণ এবং অভিবাসন বিষয়ক আইনি কাঠামোর মতো বিষয়গুলোর ওপর আলোকপাত করে। বিষয়টি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বিদেশি শিক্ষার্থীদের অধিকার এবং তাদের রাজনৈতিক মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *