ফোর্ড তাদের মেক্সিকো থেকে আমদানি করা গাড়ির দাম বাড়াচ্ছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হয়। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা তাদের তিনটি জনপ্রিয় মডেলের গাড়ির দাম ৬০০ থেকে ২,০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত বাড়াবে।
এই মূল্যবৃদ্ধি কার্যকর হবে ২ মে-এর পরে তৈরি হওয়া গাড়িগুলোর ক্ষেত্রে।
এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে ফোর্ড জানিয়েছে, মেক্সিকো থেকে গাড়ি আমদানির ওপর আরোপিত নতুন শুল্কই (ট্যাক্স) মূলত দায়ী। গত ৩ এপ্রিল থেকে এই শুল্ক কার্যকর হয়েছে, যা ২৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
ফোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এখনো পর্যন্ত এই শুল্কের সম্পূর্ণ বোঝা গ্রাহকদের উপর চাপায়নি।
ফোর্ডের এই পদক্ষেপের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে Mustang Mach-E, Maverick এবং Bronco Sport-এর মতো জনপ্রিয় মডেলগুলো। জানা গেছে, ফোর্ডের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া গাড়ির প্রায় ১৭ শতাংশ ছিল এই মডেলগুলো।
বর্তমানে ফোর্ড “কর্মচারী মূল্য” অফারটি আগামী ৪ জুলাই পর্যন্ত চালু রেখেছে। এর ফলে, গ্রাহকরা এই সময়ের মধ্যে পুরনো দামে গাড়ি কিনতে পারবেন।
ফোর্ড জানিয়েছে, শুল্ক আরোপের আগে আমদানি করা গাড়ির পর্যাপ্ত মজুদ তাদের কাছে রয়েছে, যা এই সময়ের চাহিদা মেটাতে পারবে।
তবে, ফোর্ডের এই মূল্যবৃদ্ধি সরাসরি ক্রেতাদের উপর কতটা প্রভাব ফেলবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। কারণ, গাড়ির চূড়ান্ত দাম ডিলার এবং ক্রেতার মধ্যে দর কষাকষির মাধ্যমে নির্ধারিত হয়।
ফোর্ডের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (CFO) শেরি হাউস এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, শুল্কের কারণে তাদের প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত খরচ হতে পারে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই শুল্কের কারণে গাড়ির বাজারে দাম ১ থেকে ১.৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
উল্লেখ্য, ফোর্ড একটি বৃহৎ মার্কিন গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি। যদিও বাংলাদেশে ফোর্ডের গাড়ির সরাসরি উপস্থিতি খুব একটা দেখা যায় না, তবে বিশ্বজুড়ে এর গাড়ির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন