বিখ্যাত বাস্কেটবল খেলোয়াড় ডওয়েইন ওয়েডের ক্যান্সার ধরা পড়ার পর অভিনেত্রী গ্যাব্রিয়েল ইউনিয়ন কেমন অনুভব করেছিলেন, সম্প্রতি প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে সেই বিষয়ে মুখ খুলেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, স্বামীর কঠিন রোগ নির্ণয়ের পর তিনি বেশ ভয় পেয়েছিলেন।
মারি ক্লের ‘মাদারহুড’ ইস্যুতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, ৫২ বছর বয়সী গ্যাব্রিয়েল জানান, তার স্বামী ওয়েডের কিডনি থেকে টিউমার অপসারণ করতে হবে জানার পর তার মনে হয়েছিল, যদি খারাপ কিছু ঘটে, তবে সন্তানদের একা হাতে মানুষ করার দায়িত্বটা তাকেই নিতে হবে।
গ্যাব্রিয়েল আরও বলেন, “বিষয়টা সবার সামনে আনা কঠিন ছিল, কারণ ব্যক্তিগত জীবনে অনেক কিছুই ঘটছিল।
আমরা সবাই জানি এমন অনেক মানুষ আছেন যারা ক্যান্সারকে জয় করেছেন, কিন্তু শুরুতে আমার মনে হয়েছিল, তিনি হয়তো মারা যাবেন।
যেন এটা আমাদেরই ক্যান্সার।
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি যদি নিজের কথা বলি, তাহলে বলব ওয়েডের চিকিৎসার কিছু সিদ্ধান্ত আমাকে কষ্ট দিয়েছিল।
আমার মনে হচ্ছিল, তিনি যেন আমাকে মেরে ফেলতে চাইছেন।
আর আমি একা এই সন্তানদের মানুষ করব।
গ্যাব্রিয়েলের মতে, এই ধরনের প্রতিক্রিয়া ছিল খুবই স্বার্থপরতার পরিচয়।
ওয়েডের সিদ্ধান্তগুলোর গোপনীয়তার কারণে তাদের মধ্যে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে।
তবে অস্ত্রোপচারের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
গ্যাব্রিয়েল এবং ওয়েড ২০১৪ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
তাদের ৬ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে, যার নাম কাভিয়া জেমস।
প্রসঙ্গত, ৪৩ বছর বয়সী ডওয়েইন ওয়েড ২০২৩ সালের ১৮ই ডিসেম্বর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার ডান কিডনির ৪০ শতাংশ অপসারণ করেন।
এর আগে, ফেব্রুয়ারি মাসে গ্যাব্রিয়েল জানিয়েছিলেন, স্বামীর ক্যান্সার ধরা পড়ার কারণে তাদের বিবাহিত জীবনে কঠিন সময় পার করতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ৪০ বছর বয়সে নিজের মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়াটা সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলে।
ওয়েড এবং গ্যাব্রিয়েলের সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে গ্যাব্রিয়েল জানান, তাদের বিবাহিত জীবনের নবম বছরটি বেশ কঠিন ছিল।
ক্যান্সার ধরা পড়ার পর ওয়েডের শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা, সেই সাথে সম্পর্কের ওপর এর প্রভাব—সবকিছু মিলিয়ে একটা কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।
এই কঠিন সময়ে তারা একে অপরের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন।
ওয়েডের আগের সম্পর্ক থেকে আরও কয়েকজন সন্তান রয়েছে।
তথ্য সূত্র: People