মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ ঔষধ প্রস্তুতকারক ও বিক্রয় কেন্দ্র, রাইট এইড, দেউলিয়া হওয়ার পর তাদের সব দোকান বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি কোম্পানিটি দ্বিতীয়বারের মতো দেউলিয়া হওয়ার জন্য আবেদন করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায় জগতে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
জানা গেছে, আগামী দিনগুলোতে তারা তাদের সম্পদ বিক্রি করে দেবে এবং গ্রাহকদের ব্যবস্থাপত্র অন্য ফার্মেসিতে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করবে।
রাইট এইড-এর এই সিদ্ধান্তের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তাদের নিয়মিত গ্রাহকেরা। বিশেষ করে, বয়স্ক এবং গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষেরা, যারা জীবন রক্ষাকারী ঔষধের জন্য এই ফার্মেসির ওপর নির্ভরশীল ছিলেন, তারা অসুবিধায় পড়বেন।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো গ্রাহকদের ঔষধ পরিষেবা চালু রাখা এবং কর্মীদের চাকরি বাঁচানো।
কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন কৌশলগত পদক্ষেপ নিচ্ছেন। রাইট এইডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ম্যাট শ্রোডার, এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমরা আমাদের বিশ্বস্ত গ্রাহকদের জন্য ঔষধ পরিষেবা এবং পণ্য সরবরাহ করতে পেরে গর্বিত। আমরা আমাদের কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং তাদের সহযোগিতা আমাদের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান।”
বর্তমানে, রাইট এইডের এক হাজারের বেশি দোকান চালু আছে, যা আগে দুই হাজারের বেশি ছিল। দেউলিয়া ঘোষণার কারণে, এখন কর্মীদের ছাঁটাই এবং দোকান বন্ধের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।
খবর অনুযায়ী, দেউলিয়া প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগে গ্রাহকেরা তাদের গিফট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন না এবং পণ্য ফেরত দেওয়ার সুযোগও বন্ধ হয়ে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রাইট এইডের এই পরিস্থিতি সেখানকার অর্থনীতির জন্য একটি সতর্কবার্তা। বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন দেউলিয়া হয়ে যাওয়া, বাজারের অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দেয়।
এই ঘটনার প্রভাব শুধু যুক্তরাষ্ট্রের গ্রাহকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং বিশ্ব অর্থনীতির ওপরও এর কিছু প্রভাব পড়তে পারে।
বর্তমানে, রাইট এইড তাদের সম্পদ বিক্রি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কবে নাগাদ দোকানগুলো পুরোপুরি বন্ধ হবে, সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
তবে, খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: ইউএস মিডিয়া রিপোর্ট।