কারির হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি: প্লে-অফে কি তবে শঙ্কা?

সুপারস্টার বাস্কেটবল খেলোয়াড়, গোল্ডেন স্টেট ওয়ারিয়র্সের স্টিফেন কারি, হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে অন্তত এক সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন। এই ইনজুরিটি ওয়ারিয়র্স দলের জন্য একটি বড় ধাক্কা, কারণ প্লে-অফের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দলের অন্যতম প্রধান খেলোয়াড়কে তারা হারাতে বসেছে।

খবরটি নিশ্চিত করেছে দলীয় সূত্র।

মঙ্গলবার রাতে মিনেসোটা টাইম্বারওয়লভসের বিরুদ্ধে খেলার দ্বিতীয় কোয়ার্টারে এই চোট পান কারি। ১৩ মিনিটে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনি বেশ ভালো খেলছিলেন, তবে চোটের কারণে তাকে দ্রুত মাঠ ছাড়তে হয়।

এরপর বুধবার এমআরআই পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়, তার বাম হ্যামস্ট্রিংয়ে সামান্য টান লেগেছে। এর ফলে তিনি আসন্ন তিনটি ম্যাচ – বৃহস্পতিবার মিনিয়াপলিসে দ্বিতীয় ম্যাচ, শনিবার সান ফ্রান্সিসকোতে তৃতীয় ম্যাচ এবং সোমবার চতুর্থ ম্যাচে – খেলতে পারবেন না।

এই ইনজুরির কারণে প্লে-অফে ওয়ারিয়র্সের সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমে গেছে। বাস্কেটবল বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কারির অনুপস্থিতি দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে।

খেলার ধারায় পরিবর্তন আসতে পারে এবং দলের অন্য খেলোয়াড়দের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হবে। কারি যদি দ্রুত সুস্থ না হন, তাহলে প্লে-অফের পরবর্তী রাউন্ডগুলোতেও তার খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে।

ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০১৬ ও ২০১৮ সালের প্লে-অফেও ইনজুরির কারণে কারিকে বেশ কয়েকটি ম্যাচ মিস করতে হয়েছিল। ২০১৬ সালে তারা ক্ল level্যান্ডের কাছে হেরে গেলেও, ২০১৮ সালে তৃতীয় শিরোপা জিতেছিল।

তবে, বর্তমানের ওয়ারিয়র্স দল আগের দলগুলোর মতো শক্তিশালী নয়, যেখানে কারি এবং ড্রেমন গ্রিনের মতো খেলোয়াড়রা তরুণ ছিলেন এবং ক্লে থম্পসন ও আন্দ্রে ইগুওডালার মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা ভালো পারফর্ম করেছিলেন। ২০১৮ সালের দলে কেভিন ডুরান্টও ছিলেন।

বর্তমানে, কোচ স্টিভ কারের অধীনে জিম্মি বাটলার, বাডি হিল্ড এবং ড্রেমন গ্রিনের মতো খেলোয়াড়রা প্রথম ম্যাচে ভালো খেলেছেন। তবে, কারির অনুপস্থিতি পূরণ করা তাদের জন্য সহজ হবে না।

এখন সবার নজর কারির দ্রুত আরোগ্য লাভের দিকে, কারণ তিনি ফিরলে দলের শক্তি আরও বাড়বে এবং প্লে-অফে ভালো ফল করার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল হবে। সম্ভবত, আগামী ১৪ই মে অনুষ্ঠিতব্য পঞ্চম ম্যাচে তিনি ফিরতে পারেন।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *