যুক্তরাষ্ট্র চাইছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায়, আলোচনায় জোড়।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি, দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বিষয়ে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন।
ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্সের মতে, রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধের জন্য যে শর্তগুলো চাইছে, তা অনেক বেশি। তিনি সরাসরি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনার ওপর জোর দিয়েছেন। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে ভ্যান্স বলেন, “আমার মনে হয়, রাশিয়া এই যুদ্ধ বন্ধ করতে চাইছে। তবে তারা যে শর্তগুলো দিচ্ছে, সেগুলো অনেক বেশি চাওয়া হচ্ছে।”
তিনি দুই দেশের মধ্যে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের সম্ভাবনা দেখছেন।
অন্যদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও দ্রুত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। তিনি যুদ্ধ বন্ধের জন্য আলোচনার অগ্রগতি নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্প বলেন, “আমরা এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছি, যেখানে কিছু সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। আমি এতে খুশি নই।”
এই পরিস্থিতিতে, দুই পক্ষের মধ্যে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। ইউক্রেন শুরুতে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সমর্থন করলেও, রাশিয়া সেটি তাদের কৌশলগত স্বার্থের পরিপন্থী বলে মনে করছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনকে আলোচনার জন্য একটি সাধারণ কাঠামো তৈরি করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা এই আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত।
আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই যুদ্ধের কারণে খাদ্য নিরাপত্তা ও জ্বালানি সরবরাহসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উপরও প্রভাব পড়তে পারে। তাই, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হওয়া জরুরি।
ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “ইউরোপীয় ও আমেরিকান সংস্কৃতি একে অপরের সঙ্গে জড়িত। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে বিভেদ তৈরি করা সম্ভব নয়।”
তিনি ইউরোপীয় দেশগুলোকে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর আহ্বান জানান।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ যুদ্ধ বন্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। তবে, এর ফল কী হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
তথ্য সূত্র: সিএনএন