বিখ্যাত অভিনেত্রী কিভাবে হিলারিয়া বাল্ডউইনের মাতৃত্বকে খাটো করেছিলেন।
হিলারিয়া বাল্ডউইন, যিনি একজন যোগ প্রশিক্ষক এবং লেখক, সম্প্রতি তার নতুন স্মৃতিচারণমূলক বই ‘ম্যানুয়াল নট ইনক্লুডেড’-এ একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন, যেখানে একজন ‘খুব বিখ্যাত’ অভিনেত্রী তার মেয়ে কারমেনের (১১) সামনে তাকে ‘ছোট’ করেছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছিল একটি ডিনার পার্টিতে, যেখানে হিলারিয়ার স্বামী অ্যালেক বাল্ডউইনও উপস্থিত ছিলেন।
হিলারিয়া তার বইয়ে লিখেছেন, কারমেন রুটি খুব ভালোবাসে, এবং মাঝে মাঝে সে এত বেশি রুটি খেতে শুরু করে যে, তার অন্যান্য খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। সেই ডিনার পার্টিতে কারমেন যখন একটানা কয়েক টুকরো রুটি খাচ্ছিল, তখন হিলারিয়া তাকে খাবার আসার পরে রুটি খাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
হিলারিয়া জানান, তিনি প্রথমে স্প্যানিশ ভাষায় কারমেনকে বলেন, “কারমেন, ডিনারের পরে রুটি খেলে কেমন হয়? যদি তখনও খিদে থাকে, তাহলে তুমি আরও খেও।” কিন্তু এতে কারমেন মন খারাপ করে।
হিলারিয়া আরও বলেন, তিনি তখন কিছুটা বিব্রত বোধ করে, পুনরায় ইংরেজি ভাষায় কথাটি বলেন, “আমি একটু চিন্তিত ছিলাম, তাই আমি চাইনি কেউ মনে করুক আমি খারাপ ব্যবহার করছি।” এরপরেই সেই বিখ্যাত অভিনেত্রী সেখানে মন্তব্য করেন, “আহা! শিশুরা জানে তাদের কী খাওয়া উচিত এবং তারা তাদের শরীরের কথা শোনে, তাই তাদের বুদ্ধি এবং রুটি খাওয়ার স্বাধীনতা দাও!” অভিনেত্রী বেশ উঁচু গলায় কথাগুলো বলেছিলেন এবং এরপর তিনি রুটির ঝুড়িটি তুলে নিয়ে কারমেনকে আরও একটি টুকরো রুটি দেন।
হিলারিয়া জানান, এমন পরিস্থিতিতে তিনি খুবই চুপ হয়ে গিয়েছিলেন এবং মেয়ের সামনে তার মাতৃত্বকে এভাবে খাটো করাটা তাকে হতবাক করে দিয়েছিল। তিনি বলেন, সেই মুহূর্তে তিনি যেন তার নিজের কণ্ঠস্বর হারিয়ে ফেলেছিলেন।
ঘটনার পরে, হিলারিয়া উপলব্ধি করেন যে, আসল সমস্যা ছিল তিনি সেই মুহূর্তে নিজের মত প্রকাশ করতে পারেননি।
হিলারিয়া তার বইয়ে লিখেছেন, “সমস্যাটা ছিল না যে তিনি মা ও মেয়ের ব্যক্তিগত মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করেছিলেন। বরং সমস্যা ছিল, আমার আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল, এবং আমি জানতাম না কীভাবে আমার সঠিক মনে হওয়া বিষয়টির পক্ষে দাঁড়াতে হয়। আমি তার কাছে আমার ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলাম, কারণ আমি তাকে উচ্চ আসনে দেখেছি।”
হিলারিয়া আরও যোগ করেন, “আমার উচিত ছিল অভিনেত্রীর চোখের দিকে তাকিয়ে তার অভিজ্ঞতাকে ধন্যবাদ জানানো এবং তারপর আমার সন্তানদের তার কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া। এই অভিজ্ঞতা আমাকে মা হিসেবে নিজের আত্মবিশ্বাসের প্রতি আরও সচেতন হতে শিখিয়েছে, এবং বুঝতে শিখিয়েছে যে, আমিই আমার জাহাজের ক্যাপ্টেন।”
তথ্য সূত্র: পিপল