স্টেক খাইয়ে কুকুরের মন জয়, অতঃপর যা ঘটল! সকলে হতবাক

প্রতিবেশী কুকুরের মন জয় করতে গিয়ে বিপাকে এক নারী!

পাড়ায় প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকে, বিশেষ করে যখন প্রতিবেশী এবং তাদের পোষা প্রাণী জড়িত থাকে। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার কথা জানা গেছে, যেখানে এক নারী তার প্রতিবেশীর আক্রমণাত্মক কুকুরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন।

ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন ওই নারী লক্ষ্য করেন যে, তার প্রতিবেশী গ্যারির একটি জার্মান শেফার্ড কুকুর, ব্রুটাস, তাকে মোটেও পছন্দ করে না।

মহিলাটি জানিয়েছেন, বাড়ির বাইরে গেলেই ব্রুটাস তার দিকে তেড়ে আসত এবং ঘেউ ঘেউ করে বিরক্ত করত। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, তিনি ব্রুটাসের এই আচরণে রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন।

একদিন তিনি একটি ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। ব্রুটাসকে শান্ত করতে এবং তার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে, তিনি একটি অভিনব উপায় খুঁজে বের করেন।

যখনই তিনি বারবিকিউ করতেন বা তার কাছে মাংসের টুকরা অবশিষ্ট থাকত, তিনি সেই খাবারগুলো ব্রুটাসের দিকে ছুড়ে মারতেন। প্রথম দিকে ব্রুটাস হয়তো একটু সন্দিহান ছিল, কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই তার আচরণে পরিবর্তন আসে।

কুকুরটির প্রতি এই নারীর ভালোবাসাপূর্ণ আচরণ ব্রুটাসের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রুটাস তার দিকে ঘেউ করা বন্ধ করে দেয়।

এরপর এক মাস পর, মহিলাটিকে দেখলে সে লেজ নাড়াতে শুরু করে। ছয় মাস যেতে না যেতেই ব্রুটাস তার প্রতি এতটাই আকৃষ্ট হয়ে পড়ে যে, মহিলাটি বাইরে না এলে সে অস্থির হয়ে উঠত। এমনকি, গ্যারি যখন ব্রুটাসকে বকাঝকা করত, তখন সে ছুটে এসে ওই মহিলার কাছে আশ্রয় নিত।

কিন্তু গল্পের মোড় ঘুরে যায় যখন গ্যারি জানতে পারেন যে, তার কুকুরটি এখন তাকে নয়, বরং ওই মহিলাটিকে বেশি ভালোবাসে।

গ্যারি অভিযোগ করেন যে, মহিলাটি তার কুকুরের মন জয় করে নিয়েছে এবং ব্রুটাস এখন তার থেকে খাবারও খেতে চায় না।

গ্যারি আরও বলেন, মহিলাটি কার্যত তার কুকুরের “ইমোশনাল হাইজ্যাক” করেছেন এবং তাকে ব্রুটাসের সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ করতে নিষেধ করেন।

অন্যদিকে, মহিলাটি জানিয়েছেন যে, তিনি ব্রুটাসকে খাবার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন, কিন্তু কুকুরটি এখনও তার দিকে তাকিয়ে থাকে, যেন সে-ই একমাত্র ব্রুটাসের কষ্ট বোঝে।

পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, পাড়ার অনেকেই বিষয়টিকে বেশ হাস্যকর হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ এই নারীকে “কুকুর ভাঙানি” হিসেবেও অভিহিত করছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। অনেকেই ওই নারীকে ব্রুটাসের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন।

তাদের মতে, ব্রুটাস অবশেষে এমন একজনকে খুঁজে পেয়েছে যে তাকে ভালোবাসে।

বর্তমানে, এই ঘটনাটি প্রতিবেশী সম্পর্ক এবং পোষা প্রাণীর প্রতি মানুষের আচরণ নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *