ফ্রান্সের একটি শান্ত গ্রামে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এক ব্রিটিশ নারী। ডরডগনে অঞ্চলের ত্রেমোলা গ্রামের একটি বাড়িতে গত ২৯শে এপ্রিল, ৬৫ বছর বয়সী কারেন কার্টারকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, কারেন পেশায় ছিলেন একজন ব্যবসায়ী, এবং তাঁর দুটি ভাড়ার বাড়ি ছিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কারেনের এক বন্ধু তাঁর মৃতদেহ খুঁজে পান। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, কারেনের শরীরে আটটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল, যার মধ্যে কিছু আঘাত তাঁর বুক এবং কোমরে লাগে।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রাথমিকভাবে এক প্রতিবেশী নারীকে আটক করলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তদন্তকারীরা এখন এই হত্যাকাণ্ডের সম্ভাব্য কারণ অনুসন্ধান করছেন। পুলিশের ধারণা, কারেন কার্টারের সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল, অথবা তাঁর পরিচিত কারও সঙ্গে কোনো বিরোধ ছিল।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ কারেনের পরিচিত আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কারেনের সঙ্গে ৭৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তির সম্পর্ক ছিল এবং তিনিই প্রথম কারেনের মৃতদেহ খুঁজে পান। পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে ছেড়ে দিয়েছে।
কারেনের স্বামী দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকেন। তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে স্ত্রীর মৃত্যুর খবর জানতে পারেন। বিবিসির একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, কারেনের মৃত্যুর খবর জানার পরে তিনি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
কারেন কার্টার ত্রেমোলা গ্রামে এক দশকের বেশি সময় ধরে বসবাস করতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি গ্রামের সকলের কাছে খুবই প্রিয় ছিলেন।
বন্ধুদের মতে, কারেন ছিলেন অত্যন্ত দয়ালু একজন মানুষ।
এই ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে এবং পুলিশ প্রকৃত খুনিকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
তথ্য সূত্র: বিবিসি