পোপ নির্বাচনের প্রথম ব্যালটে নতুন পোপ নির্বাচিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন কার্ডিনালরা। বুধবার রাতে ভ্যাটিকানের সিস্টিন চ্যাপেল থেকে কালো ধোঁয়া বের হওয়ার মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচনের জন্য বিশ্বজুড়ে সমবেত হয়েছিলেন কার্ডিনালরা।
গত ২১শে এপ্রিল, ২০২২-এ পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর ক্যাথলিক চার্চের প্রধান কে হবেন, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১৩৩ জন কার্ডিনালকে ডাকা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নতুন পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। বুধবার সন্ধ্যায় প্রথম দফা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়, কিন্তু কোনো প্রার্থী প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় নতুন পোপ নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি।
ভোট গ্রহণের পর সিস্টিন চ্যাপেল থেকে স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে কালো ধোঁয়া বের হয়। এই ধোঁয়া হলো নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার প্রতীক।
যদি কোনো প্রার্থী দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান, তবে সাদা ধোঁয়া বের হয়, যা নতুন পোপ নির্বাচনের ঘোষণা দেয়। তবে, প্রথম দিনের ভোটগ্রহণে কোনো ফলাফল না আসায় এখন বৃহস্পতিবার আবারও ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নতুন পোপ নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে কমপক্ষে ৮৯ ভোট পেতে হবে।
ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে জড়ো হওয়া হাজারো মানুষ এই সিদ্ধান্তের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। অনেকের মাঝেই নতুন পোপ নির্বাচন নিয়ে উৎসাহ দেখা গেছে।
আয়ারল্যান্ডের নাগরিক ক্যাটরিওনা হাওয় জানান, তিনি নতুন পোপের জন্য এখানে এসেছেন এবং ফ্রান্সিস ছিলেন একজন অসাধারণ মানুষ।
এই নির্বাচনে কোনো সুস্পষ্ট প্রার্থী নেই। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইতালির পিয়েরবাতিস্তা পিজ্জাবালা, হাঙ্গেরির পিটার এরদো এবং শ্রীলঙ্কার মালকম রঞ্জিত সহ কয়েকজনের নাম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে।
নতুন পোপের সামনে পুরোহিতদের সংখ্যা হ্রাস, নারীর ভূমিকা, ভ্যাটিকানের আর্থিক বিষয়, আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে চার্চের সম্পর্ক স্থাপন এবং শিশু যৌন নির্যাতনের মতো বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিতে হবে।
এছাড়াও, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং চার্চের অভ্যন্তরীণ বিভেদও নতুন পোপের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে আসবে।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা