বিমানবন্দরে ভয়াবহ বিপদ! কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে কি বড়সড় ক্ষতি?

শিরোনাম: নিউইয়র্ক এয়ারপোর্টে বিমান চলাচলে নিরাপত্তা ঝুঁকি, কর্তৃপক্ষের সতর্কবার্তা উপেক্ষার অভিযোগ

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর, নিউয়ার্ক লিবার্টি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে (Newark Liberty International Airport) বিমান চলাচলে নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা। কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার সতর্কবার্তা পাঠানো হলেও, তা উপেক্ষা করার অভিযোগ উঠেছে।

এর ফলস্বরূপ, বিমানবন্দরের কর্মপরিবেশে মারাত্মক ত্রুটি দেখা দিয়েছে এবং ফ্লাইট পরিচালনায় ব্যাপক বিলম্ব ও বাতিল হয়েছে।

গত গ্রীষ্মকাল থেকে, বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রকেরা বিমানবন্দরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিভ্রাট, রাডার অচল হয়ে যাওয়া এবং সমন্বয়হীনতার মতো সমস্যাগুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন। সম্প্রতি, কন্ট্রোলারদের নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড থেকে ফিলাডেলফিয়াতে (Philadelphia) সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।

এর ফলে, দুটি স্থানের মধ্যে বিমান চলাচলের সমন্বয় আরও কঠিন হয়ে পড়ে।

একজন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার জানিয়েছেন, যোগাযোগে সমস্যার কারণে আকাশে বিমানের মধ্যে সংঘর্ষ প্রায় ঘটেই গিয়েছিল, তবে ‘সৌভাগ্যবশত’ সেটি এড়ানো গেছে।

তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা যেন রাশিয়ান রুলেট খেলছি।” কর্তৃপক্ষের এই ধরনের সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি এই মন্তব্য করেন।

নভেম্বর মাসে, একবার প্রায় ৯০ সেকেন্ডের জন্য নিউয়ার্ক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সাইটে রাডার ও রেডিও পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়।

এর ফলে, কয়েকজন কন্ট্রোলার মানসিক আঘাতের শিকার হন এবং তাদের কাজে আসতে সমস্যা হয়।

বিষয়টি বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল কন্ট্রোলারদের আগের সতর্কবার্তাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা।

তাদের মতে, নিউইয়র্কের আকাশপথ, যা অত্যন্ত ব্যস্ত এবং জটিল, সেখানে এমন সমন্বয়হীনতা দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে।

ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA) জানিয়েছে, তারা নিউয়ার্কে বিমান চলাচল স্বাভাবিক করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে।

এর মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত কন্ট্রোলার নিয়োগ এবং ফিলাডেলফিয়াতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ব্যবস্থা করা।

তবে, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কন্ট্রোলারদের স্থানান্তরের সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করা উচিত।

একজন অভিজ্ঞ এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “আমি চাই এমন একটি ব্যবস্থা, যা নির্ভরযোগ্যভাবে কাজ করবে।

আমি চাই না আমার কারণে কোনো মানুষের জীবনহানি ঘটুক।”

বিমানবন্দরের এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক বিমান ভ্রমণে আসা-যাওয়া করা বাংলাদেশি যাত্রীদের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

কারণ, এর ফলে ফ্লাইট বিলম্বিত হওয়া বা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কর্তৃপক্ষের দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে, ভবিষ্যতে এই ধরনের সমস্যা আরও বাড়তে পারে।

তথ্য সূত্র: CNN

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *