মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি এখনো বিশ্ব অর্থনীতিতে এক গভীর অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। তাঁর নেওয়া শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তগুলো প্রায়শই বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির জন্ম দেয়।
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার নামে তিনি যে কৌশল গ্রহণ করেছেন, তা অনেক দেশকে ফেলেছে উদ্বেগে। ট্রাম্প প্রায়ই বলে থাকেন, তাঁর সরকার কোনো চুক্তিতে আবদ্ধ হতে বাধ্য নয়।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ট্রাম্পের মূল লক্ষ্য হলো শুল্কের মাধ্যমে প্রচুর রাজস্ব আয় করা। তাঁর মতে, এই উপার্জনের মাধ্যমে আমেরিকার বিশাল ঋণের বোঝা কমানো সম্ভব।
এমনকি এর ফলে করের হারও উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো যেতে পারে। তবে, বাণিজ্য চুক্তি থেকে শুল্ক তুলে দেওয়ার পরিবর্তে তিনি এগুলোকে বহাল রাখতে চান।
এই নীতির কারণে অনেক দেশই তাদের মধ্যেকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে দ্বিধায় পড়েছে। বিশেষ করে, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার বাণিজ্য যুদ্ধ এখনো অব্যাহত রয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে উচ্চ হারে শুল্কের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আলোচনা ফলপ্রসূ করতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই তাদের বাণিজ্য নীতিতে নমনীয়তা দেখাতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের বাণিজ্য সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো কেবল যুক্তরাষ্ট্র বা চীনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতির ওপর পড়ছে, যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্যও উদ্বেগের কারণ।
বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই নীতি বহাল থাকলে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা আরও বাড়বে, যা বিভিন্ন দেশের বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে।
উদাহরণস্বরূপ, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া, বাণিজ্য চুক্তির অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বিনিয়োগ করতে দ্বিধা বোধ করতে পারেন, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্পের এই “কৌশলগত অনিশ্চয়তা” বাণিজ্য আলোচনার ক্ষেত্রে এক নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এটি কীভাবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্ককে প্রভাবিত করে, সেদিকে এখন সকলের নজর।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস