মেক্সিকোতে ষাঁড়ের লড়াই: নিষেধাজ্ঞায় রক্তাক্ত লড়াইয়ের সংস্কৃতি!

মেক্সিকো সিটিতে ষাঁড়ের লড়াই নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের জেরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সম্প্রতি মেক্সিকো সিটির কর্তৃপক্ষ এই ঐতিহ্যবাহী খেলাটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

পশু অধিকার কর্মীরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও, ষাঁড়ের লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িত মানুষজন – এদের মধ্যে ষাঁড় যোদ্ধা, দর্শক এবং খামারিরাও আছেন – এই নিষেধাজ্ঞার তীব্র বিরোধিতা করছেন। তাদের মতে, এটি একটি গভীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ওপর আঘাত, যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসছে।

মেক্সিকোর এই ঐতিহ্যবাহী খেলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন দিয়েগো সিলভেতির মতো ষাঁড় যোদ্ধারা। তিনি বংশ পরম্পরায় এই পেশার সঙ্গে যুক্ত।

দিয়েগো মনে করেন, ষাঁড়ের লড়াই কেবল একটি পেশা নয়, বরং এটি তার কাছে একটি ব্রত। এই খেলার সঙ্গে জড়িত ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত থাকা সত্ত্বেও, তিনি এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন। দিয়েগো বলেন, “প্রয়োজনে আমি জীবন দিতেও প্রস্তুত। আমার ঐতিহ্য, আমার সম্মান এবং ঈশ্বরের আদেশ পালনের জন্য আমি সবসময় প্রস্তুত।”

অন্যদিকে, পশু অধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে এই খেলার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল। তাদের যুক্তি, ষাঁড়ের লড়াইয়ে পশুদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়, যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তারা মনে করেন, এই ধরনের খেলা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।

তাদের এই দাবির কারণেই মেক্সিকো সিটিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এই বিতর্কের মূল বিষয় হলো, পশু অধিকার এবং সংস্কৃতির মধ্যেকার দ্বন্দ্ব। একদিকে, পশুপ্রেমীরা প্রাণীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের কথা বলছেন, অন্যদিকে, ষাঁড়ের লড়াইয়ের সমর্থকেরা তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান জানানোর দাবি করছেন। এই দুই পক্ষের এই টানাপোড়েনের মধ্যে, মেক্সিকোর এই ঐতিহ্যবাহী খেলাটির ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখন দেখার বিষয়।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *