যুদ্ধ বাড়ছে! কাশ্মীর ইস্যুতে কেন নীরব ট্রাম্প?

ভারত-পাকিস্তান সংকট: কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রশ্নে ট্রাম্প প্রশাসনের নীরবতা। জম্মু ও কাশ্মীরে সাম্প্রতিক সহিংসতা আবারও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে।

এমন পরিস্থিতিতে, অতীতে আন্তর্জাতিক সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, এবার দৃশ্যত নীরব ভূমিকা পালন করছে। কাশ্মীর নিয়ে চলমান এই পরিস্থিতিতে, কেন ট্রাম্প প্রশাসন সরাসরি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দেয়।

উভয়পক্ষের এই পাল্টাপাল্টি হামলায় পরিস্থিতি আরও গুরুতর হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অতীতে, কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনা কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় কূটনৈতিক পদক্ষেপ দেখা গেছে।

বিশেষ করে, ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের সময়, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো উদ্যোগ এখনো পর্যন্ত দেখা যায়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, এর প্রধান কারণ হলো ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তন। তারা আন্তর্জাতিক জোট গঠনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না এবং বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তাদের তেমন উৎসাহ নেই।

বরং, তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাছাড়া, কাশ্মীর ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি কোনো অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক স্বার্থ নেই। ফলে, এখানে মধ্যস্থতা করার ক্ষেত্রে তাদের আগ্রহ কম হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই নীরবতার পেছনে আরও কিছু কারণ রয়েছে। ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সম্পর্ক বেশ ভালো। অন্যদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আগের মতো উষ্ণ নেই।

উপরন্তু, পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে চীনের উপস্থিতি, পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

এই পরিস্থিতিতে, মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ, যেমন কাতার, পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছে। কাতার সরকার উভয় দেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের মধ্যে আলোচনা শুরুর জন্য চেষ্টা করছে।

তবে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো সক্রিয় পদক্ষেপ না থাকার কারণে, আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

অতীতে কাশ্মীর সংকট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে, ট্রাম্প প্রশাসনের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এবং পরিবর্তিত ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন কৌশল প্রয়োজন।

বর্তমানে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে অন্য দেশগুলোর নেওয়া পদক্ষেপের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ব।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *