পোপ নির্বাচনের উদ্দেশ্যে ভ্যাটিকানের সিস্টিন চ্যাপেলে সমবেত হয়েছেন কার্ডিনালরা। বুধবার প্রথম দফা ভোটের পর কোনো ফলাফল না আসায়, কালো ধোঁয়া নির্গত হয় এবং নতুন পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে যায়।
খবর অনুযায়ী, পোপ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে একাধিক দফা ভোটের প্রয়োজন হতে পারে। ক্যাথলিক চার্চের প্রধান হিসেবে পোপের পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি আধ্যাত্মিক গুরু। পোপ নির্বাচনের এই প্রক্রিয়াটি ‘কনক্লেভ’ নামে পরিচিত, যেখানে গোপন ভোটের মাধ্যমে নতুন পোপ নির্বাচিত হন।
বুধবারের ভোটে কোনো ফল না হওয়ায়, বৃহস্পতিবার সকালে পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। জানা গেছে, ১৩৩ জন কার্ডিনাল এই নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
নতুন পোপ নির্বাচিত হতে হলে, তাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৮৯ জনের সমর্থন প্রয়োজন। নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে সম্পন্ন হয়।
ভোট গ্রহণের আগে কার্ডিনালদের শপথ নিতে হয় এবং বাইরের জগৎ থেকে তাদের সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পোপ নির্বাচনের জন্য সাধারণত কয়েক দফা ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে, কয়েক দিন পর্যন্ত সময় লেগে যায় নতুন পোপ নির্বাচিত করতে। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৮৭ সালে জন পল-২ চতুর্থ ব্যালটে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের কেন্দ্রবিন্দু সিস্টিন চ্যাপেল। মাইকেল एंजेलो-র ‘শেষ বিচার’ চিত্রের সামনে দাঁড়িয়ে কার্ডিনালরা শপথ গ্রহণ করেন।
ভোটের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে, প্রত্যেক কার্ডিনাল পবিত্র বাইবেলের ওপর হাত রেখে গোপনীয়তা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন। ভোটের ফলাফল জানতে অধীর আগ্রহে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে অপেক্ষা করেন হাজারো মানুষ।
সিস্টিন চ্যাপেল থেকে যখন কালো ধোঁয়া নির্গত হয়, তখন অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েন। কারণ, এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে, প্রথম রাউন্ডের ভোট কোনো ফল আনতে পারেনি।
পোপ নির্বাচনের এই প্রক্রিয়াটি শুধু ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের জন্য নয়, বরং বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সবাই এখন নতুন পোপের অপেক্ষায় রয়েছেন, যিনি শান্তি ও ঐক্যের বার্তা নিয়ে আসবেন।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস