৯ই মে: বিজয় দিবসে পুতিনের আনন্দ, কিন্তু কতটা টেকসই?

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই রাশিয়ায় পালিত হচ্ছে বিজয় দিবস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়ের স্মরণে প্রতি বছর ৯ই মে এই দিবসটি পালন করা হয়।

মস্কোর রেড স্কয়ারে অনুষ্ঠিতব্য কুচকাওয়াজকে কেন্দ্র করে এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, কারণ ইউক্রেন সম্ভাব্য ড্রোন হামলার হুমকি দিয়েছে।

প্রতি বছর, বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজের আগে, মস্কোর আকাশে মেঘমুক্ত আকাশ নিশ্চিত করতে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে বৃষ্টি থামানো হয়। তবে এবার আশঙ্কা বৃষ্টির নয়, বরং ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার।

ইতিমধ্যে, রাজধানী মস্কোর চারটি বিমানবন্দরের আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অধিকন্তু, ক্রিমিয়ায় স্থানীয় বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ বাতিল করা হয়েছে।

ক্রেমলিনের জন্য এই কুচকাওয়াজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আধুনিক রুশ সামরিক শক্তি প্রদর্শনের একটি মাধ্যম। একইসাথে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে দেশপ্রেম জাগ্রত করা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের অবস্থান তুলে ধরারও একটি সুযোগ।

চীন, বেলারুশ, ভেনিজুয়েলা, কিউবা, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার পক্ষ থেকে বিজয় দিবসের জন্য প্রস্তাবিত তিন দিনের যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

অন্যদিকে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন যুদ্ধ এখনো চলমান। পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, এই যুদ্ধে রাশিয়ার হতাহতের সংখ্যা ১০ লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে।

যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ায় দেশটির রাজস্ব কমে যাচ্ছে। যদিও, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহী, তবে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রাখতে পারে।

বিজয় দিবসের এই আয়োজন একদিকে যেমন রাশিয়ার জন্য আনন্দের, তেমনই ইউক্রেন যুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জটিলতা ভবিষ্যতে তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসতে পারে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *