এখানে নতুন একটি সংবাদ নিবন্ধ:
**যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে পাশ কাটিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি করতে পারে: সূত্রের খবর**
ঢাকা, [আজকের তারিখ]। মধ্যপ্রাচ্যে নতুন একটি মেরুকরণের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান অচলাবস্থা সত্ত্বেও ওয়াশিংটন সৌদি আরবের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি চূড়ান্ত করতে পারে।
ইসরায়েলের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ওই মার্কিন কর্মকর্তা সম্প্রতি গাজায় আটক বন্দীদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আভাস দেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তের পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েলের অনমনীয় অবস্থান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও জানান, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী। আগামী সপ্তাহে ট্রাম্পের সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের কথা রয়েছে।
অন্যদিকে, হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত এই চুক্তিতে ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্তির জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে মার্কিন কর্মকর্তার বক্তব্যে মনে হচ্ছে, ওয়াশিংটন এখন ইসরায়েলের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে রাজি নয়।
ইসরায়েল যদি দ্রুত কোনো সমাধানে না আসে, তবে তাদের “চুক্তি থেকে বাদ পড়ার” মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে।
খবর অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে চাইছে। এর পাশাপাশি, সৌদি আরবকে অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ এবং দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচিকে সমর্থন করারও পরিকল্পনা রয়েছে।
বিনিময়ে, যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, সৌদি আরব যেন চীনের সঙ্গে সম্পর্ক সীমিত করে এবং রাশিয়ার সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখে।
এই চুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো, সৌদি আরব কর্তৃক ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া। বিনিময়ে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের বিষয়ে সৌদি আরব নমনীয় হতে পারে।
যদিও ফিলিস্তিনিদের জন্য দুই-রাষ্ট্র সমাধান নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে, সৌদি আরব কিছু প্রতীকী ছাড়ের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি সমঝোতায় আসতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি সফল হলে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব এবং ইসরায়েলের মধ্যেকার সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে, এই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিতেও প্রভাব পড়তে পারে।
তবে ফিলিস্তিনিদের অধিকারের বিষয়টি এক্ষেত্রে কতটা গুরুত্ব পাবে, সেটি এখন দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা