বিয়েতে বাবাকে নিয়ে মেয়ের চরম সিদ্ধান্ত! তারপর যা ঘটলো…

বর চাইছে না তার বাবা বিয়ের অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করুক, আর এর জের ধরে বাবার সঙ্গে তৈরি হয়েছে তীব্র মনোমালিন্য। বিয়ের খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার এবং অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে, সম্প্রতি, যেখানে কনে তার বাবার এই ইচ্ছের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন।

জানা যায়, কনের বাবা, যিনি পেশায় একজন ধর্মযাজক, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ধরেই দুইটি মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করার স্বপ্ন দেখতেন। পরিবারের সবাইও বিষয়টি নিয়ে মজা করতেন। কিন্তু মেয়ের বিয়েতে সেই ইচ্ছাপূরণ হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মেয়ের অনীহা।

কনের ভাষ্যমতে, বাবা-মায়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো নয়। তিনি মনে করেন, তার বাবা-মা আত্মকেন্দ্রিক এবং তাদের কিছু আচরণ শৈশবে তার মনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে। তাই তিনি চান না, তার বাবা বিয়ের অনুষ্ঠানে কোনো ধর্মীয় আচার পালন করুক। কারণ তিনি মনে করেন, যিনি ছোটবেলায় তাকে ভালোবাসাই দেননি, তিনি কীভাবে বিয়ের মতো পবিত্র অনুষ্ঠানে ভালোবাসার কথা শোনাবেন?

এই বিষয় নিয়ে কয়েক সপ্তাহ আগে কনে ও তার বাগদত্তের সঙ্গে কনের বাবার কথা হয়। সেই সময়ে কনের বাবা জানান, তিনি অনুষ্ঠানে কী বার্তা দেবেন, তা নিয়ে ভাবছেন। তখনই কনে সরাসরি জানিয়ে দেন, তিনি চান না তার বাবা বিয়ের কাজটি সম্পন্ন করুক। এতে কনে আরো জানান, তিনি বাবাকে শুধু বিয়ের মঞ্চ পর্যন্ত হেঁটে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন। কিন্তু এতে কনে আরও রেগে যান এবং বলেন, তিনি বাবা হিসেবে থাকতে চান নাকি পুরোহিত হিসেবে, সেটি তাকে বেছে নিতে হবে।

এই ঘটনার পর কনের বাবা নাকি তাকে ক্ষমা চাইতে বলছেন। কারণ, তার মতে, মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করাটা তার অধিকার। তিনি এখন নাকি হুমকি দিচ্ছেন, তিনি যদি বিয়ের কাজটি করতে না পারেন, তবে বিয়ের খরচ দেবেন না এবং অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন না। এমন পরিস্থিতিতে কনে নাকি এখন বিয়ে ভেঙে দেওয়ার অথবা চুপ করে বিয়েটা সেরে ফেলার কথা ভাবছেন।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই কনেকে সমর্থন করে বলছেন, বাবা যদি এমনটা করেন, তবে মেয়ের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ অধিকার আছে। কারণ, বিয়ের অনুষ্ঠানটি মূলত কনে ও তার সঙ্গীর। তারা দু’জনই ঠিক করবেন, অনুষ্ঠানে কী হবে আর কী হবে না।

তথ্যসূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *