ভ্যাটিকানে পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়া এখনো চলছে, কালো ধোঁয়া ইঙ্গিত দিচ্ছে নতুন পোপের মনোনয়ন এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বৃহস্পতিবার, সিস্টিন চ্যাপেল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো কালো ধোঁয়া বের হওয়ার পরে, বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের মানুষজন নতুন পোপের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
গত বুধবার সন্ধ্যায় গোপন বৈঠকে মিলিত হওয়া ১৩৩ জন কার্ডিনাল তাদের ভোটাভুটি শুরু করেছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী, পোপ নির্বাচনের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন, যা ৮৯ ভোটের সমান। বৃহস্পতিবার সকালে ভোট গ্রহণের পর যখন কালো ধোঁয়া দেখা যায়, তখন বোঝা যায় যে কোনো প্রার্থী প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পাননি।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায়ও একই ঘটনা ঘটেছিল, যখন কার্ডিনালরা প্রথম দফা ভোট গ্রহণ করেন।
ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়াটি বেশ গোপনীয়তার সঙ্গে সম্পন্ন হয়। কার্ডিনালরা বাইরের জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান এবং তাদের মোবাইল ফোন জমা দিতে হয়। এমনকি ভ্যাটিকানের আশেপাশে রেডিও তরঙ্গও বন্ধ করে দেওয়া হয়, যাতে বাইরের কারো সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ না থাকে।
পোপ নির্বাচনের এই প্রক্রিয়া কয়েক দিন ধরে চলতে পারে, যতক্ষণ না কোনো প্রার্থী প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পান।
বিশ্বের প্রায় ১৪০ কোটি ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীর প্রধান হিসেবে পোপের গুরুত্ব অপরিসীম। ২১শে এপ্রিল প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের স্থলাভিষিক্ত হতে আসা নতুন পোপের দিকে তাই সবার দৃষ্টি। এর আগে পোপ ফ্রান্সিস প্রায় ১২ বছর এই দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পোপ নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংখ্যক ভোটের প্রয়োজন হয়েছে। কেউ কেউ দ্রুত নির্বাচিত হয়েছেন, আবার কারো ক্ষেত্রে অনেক সময় লেগেছে।
উদাহরণস্বরূপ, পোপ জন পল প্রথমকে চতুর্থ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছিল, যিনি মাত্র ৩৩ দিন দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পোপ জন পল দ্বিতীয়কে নির্বাচিত করতে আটটি ভোটের প্রয়োজন হয়েছিল, আর পোপ ফ্রান্সিস নির্বাচিত হয়েছিলেন পঞ্চম ভোটে।
কার্ডিনালরা এখন দুপুরের খাবারের বিরতির পর সিস্টিন চ্যাপেলে আবার মিলিত হবেন এবং ভোট গ্রহণ করবেন। এই প্রক্রিয়া চলতে থাকবে যতক্ষণ না নতুন পোপ নির্বাচিত হন।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা