খরগোশের স্বপ্নে: ডেসmond মরিসের গোপন, সাহসী ভালোবাসার সিনেমা!

শিরোনাম: হারিয়ে যাওয়া প্রেম: ৭০ বছর পর পর্দায় ফিরছে ডেসমন্ড মরিসের ‘টাইম ফ্লাওয়ার’

বিখ্যাত প্রাণীবিজ্ঞানী এবং ‘দ্য নেকেড এইপ’ খ্যাত লেখক ডেসমন্ড মরিসের একটি পুরনো, প্রায় বিস্মৃতপ্রায় ছবি, ‘টাইম ফ্লাওয়ার’, আবারও আলোচনার কেন্দ্রে। ১৯৫০ সালে নির্মিত এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রটি, যা মরিসের তরুণ বয়সের কাজ ছিল, সম্প্রতি বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্ল্যাটপ্যাক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে।

ছবিটি তৈরি হয়েছিল সালভাদর দালি এবং লুইস বুনিউয়েলের ‘আন শিয়েন আন্ডালু’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। ‘টাইম ফ্লাওয়ার’-এর মূল আকর্ষণ এর বিষয়বস্তু এবং চিত্রনাট্য। ছবিতে অভিনয় করেছেন মরিসের প্রয়াত স্ত্রী, রামোনা মরিস। ছবিতে নারী-পুরুষের মধ্যেকার সম্পর্কের গভীরতা এবং তাদের অবচেতন মনের কল্পনাবিলাস ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

ডেসমন্ড মরিসের মতে, ছবিটি তার জীবনের প্রেমের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত। রামোনার সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয় ১৯৪৯ সালে, একটি পার্টিতে। তাদের প্রেম এতটাই গভীর ছিল যে, রামোনা যখন ফ্রান্সে চলে যান, ডেসমন্ড তাকে অনুসরণ করে সেখানে যান। সিনেমার শুটিংয়ের সময় তাদের সম্পর্ক ছিল খুবই গভীর এবং আবেগপূর্ণ।

ছবিটি নির্মাণের প্রেক্ষাপটও বেশ আকর্ষণীয়। একবার, একটি বুনো খরগোশকে ধরার জন্য রামোনাকে তার গাড়ির বনেটের ওপর লাফ দিতে হয়েছিল। ডেসমন্ড জানান, সেই ঘটনার পরেই তিনি রামোনাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।

তবে, ‘টাইম ফ্লাওয়ার’-এর বিষয়বস্তু বা এর দৃশ্যায়ন কি ডেসমন্ড মরিসের প্রাণীবিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণার সঙ্গে সম্পর্কিত? মরিসের ভাষ্যে, ছবিটির সঙ্গে তার চিড়িয়াখানা বিষয়ক কাজের তেমন কোনো যোগসূত্র নেই। তিনি বলেন, “খরগোশটি ছাড়া ছবিতে প্রাণীবিদ্যার তেমন কিছু নেই।”

দীর্ঘদিন পর ছবিটি প্রদর্শিত হওয়ায় আনন্দিত ডেসমন্ড মরিস। তিনি মনে করেন, এটি তার জীবনের এক স্মরণীয় অধ্যায়, যা দর্শকদের কাছে তুলে ধরার সুযোগ হয়েছে। ‘টাইম ফ্লাওয়ার’-এর প্রদর্শনীতে দর্শকদের আগ্রহ বাড়ছে, যা প্রমাণ করে শিল্প সবসময়ই মানুষের মনে জায়গা করে নেয়।

তথ্য সূত্র:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *