আজ, বিশ্বজুড়ে পরিবেশ প্রেমী এবং প্রকৃতিবিদদের কাছে একটি বিশেষ দিন, কারণ কিংবদন্তি স্যার ডেভিড অ্যাটেনবরো ৯৯ বছরে পা রাখলেন।
এই উপলক্ষে, প্রিন্স উইলিয়াম, ওয়েলসের যুবরাজ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকৃতি রক্ষার প্রতি ডেভিড অ্যাটেনবরোর উৎসর্গীকৃত জীবন এবং আশা জাগানো বার্তার প্রশংসা করেছেন।
প্রিন্স উইলিয়াম তার পোস্টে উল্লেখ করেছেন, “আজ তিনি ৯৯ বছরে পা রাখলেন, এবং তাঁর নতুন চলচ্চিত্রে স্যার ডেভিড আমাদের আবারও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রাকৃতিক আবাসস্থল রক্ষার প্রয়োজনীয়তা – এবার সমুদ্রের নিচে থাকা জগৎকে।
যুবরাজ আরও যোগ করেন, “স্যার ডেভিড তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে যে, মানবজাতি পৃথিবীর জন্য কী করছে, সে সম্পর্কে আমরা যেন ভালোভাবে অবগত হই।
ডেভিড অ্যাটেনবরো পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন।
তিনি শুধু একজন খ্যাতিমান প্রকৃতিবিদই নন, বরং তিনি প্রিন্স উইলিয়ামের ‘আর্থশট প্রাইজ’-এর পুরস্কার কাউন্সিলেরও সদস্য।
এই পুরস্কারের মূল লক্ষ্য হলো পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে সহায়তা করা।
স্যার ডেভিডের নতুন চলচ্চিত্র ‘ওশেন উইথ ডেভিড অ্যাটেনবরো’ সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে।
এই চলচ্চিত্রে সমুদ্রের গভীরে থাকা জীবনের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে, যা পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব আরও একবার স্মরণ করিয়ে দেয়।
এই চলচ্চিত্রের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন রাজা তৃতীয় চার্লসও।
প্রিন্স উইলিয়াম তাঁর বার্তায় বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন, স্যার ডেভিডের বার্তা সবসময়ই আমাদের মধ্যে আশা জাগিয়ে তোলে, এবং আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, এখনও সব হারিয়ে যায়নি।
তিনি তাঁর পোস্টে আরও লিখেছেন, “আমাদের অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করতে হবে, জরুরি ভিত্তিতে, আমাদের সমুদ্রকে পুনরুদ্ধার করতে।
উল্লেখ্য, স্যার ডেভিড অ্যাটেনবরো প্রয়াত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের খুব কাছের ছিলেন।
এমনকি ২০২০ সালে তিনি প্রিন্স উইলিয়াম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
প্রিন্স জর্জ, প্রিন্সেস শার্লট ও প্রিন্স লুই – এই তিন রাজকীয় সদস্য ডেভিডের সঙ্গে একটি আকর্ষণীয় প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেয়।
পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব এবং সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য রক্ষার প্রয়োজনীয়তা বর্তমানে বাংলাদেশের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের দেশে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ছে, যা পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
স্যার ডেভিড অ্যাটেনবরোর কাজ তাই আমাদের জন্য আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।
তথ্যসূত্র: পিপল