লিয়া মিশেলের পাঠ্য বিষয়ক গুজব: অবশেষে মুখ খুললেন অভিনেত্রী, তোলপাড়!

বিখ্যাত অভিনেত্রী এবং সঙ্গীতশিল্পী লিয়া মিশেলকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে একটি গুজব শোনা যায়, যা সম্প্রতি আবারও আলোচনায় এসেছে। গুজবটি হলো, তিনি নাকি পড়তে পারেন না।

বিষয়টি নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন মিশেল, জানিয়েছেন তাঁর প্রতিক্রিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিনেত্রীর বয়স এখন ৩৮ বছর। তাঁর অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল ছোটবেলাতেই। টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘গ্লি’ (Glee)-তে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি পরিচিতি লাভ করেন।

তাঁর অভিনয় এবং গানের দক্ষতার জন্য দর্শক মহলে তিনি সুপরিচিত। কিন্তু তাঁর সম্পর্কে এমন একটি গুজব বহু বছর ধরে উড়ছে যে, তিনি নাকি পড়তে পারেন না, এবং সেটে অন্যদের সাহায্য নিয়ে সংলাপ মুখস্থ করেন।

বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি ‘থেরাপাস উইথ জ্যাক শেন’ নামের একটি অনলাইন অডিও শো (podcast)-তে কথা বলেছেন মিশেল। তিনি জানান, এই গুজবটি প্রথম তাঁর দীর্ঘদিনের সহযোগী, প্রযোজক এবং পরিচালক রায়ান মারফির মাধ্যমে জানতে পারেন।

রায়ান মারফি তাঁকে ফোন করে এই বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন। মিশেল বলেন, বিষয়টি শুনে তিনি প্রথমে বেশ অবাক হয়েছিলেন।

মিশেল জানান, এই গুজবটি তাঁকে মাঝে মাঝে হতাশ করে তোলে। তিনি বলেন, তাঁর পরিবারের সদস্যরা, বিশেষ করে তাঁর মা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা, শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে খুব বেশি সুযোগ পাননি।

ব্রঙ্কস-এর মতো একটি দরিদ্র এলাকা থেকে উঠে এসে তিনি ভালো শিক্ষার জন্য চেষ্টা করেছেন এবং একটি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর পরিবারের কাছে এটি ছিল অনেক বড় একটি বিষয়, যা নিয়ে তাঁরা গর্বিত।

এমন পরিস্থিতিতে তাঁর সম্পর্কে এমন একটি গুজব, যা তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, তা খুবই দুঃখজনক।

নিজের বন্ধু, অভিনেতা জোনাথন গ্রফের একটি মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে মিশেল বলেন, জোনাথন এই গুজবের প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, “তুমি কি সত্যিই মনে করো, সে পড়তে পারে না? তাহলে, এটা তোমার সম্পর্কে কী বলে?”

২০১৫ সাল থেকে এই গুজবটি অনলাইনে বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। এর আগে, ২০২২ সালে ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও মিশেল এই বিষয়ে কথা বলেছিলেন।

তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি সবসময় সেটে উপস্থিত থাকতেন এবং তাঁর সংলাপগুলো মুখস্থ করতেন। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর সম্পর্কে এমন একটি গুজব খুবই দুঃখজনক।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *