বৃদ্ধদের জন্য নতুন দিগন্ত: ভ্যাটিকান ও এএআরপি’র যৌথ উদ্যোগে আলোচনা!

শিরোনাম: বৃদ্ধ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ভ্যাটিকান ও এএআরপি’র যৌথ উদ্যোগ

বিশ্বজুড়ে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, যা বর্তমান বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে এবার এগিয়ে এসেছে ভ্যাটিকান সিটি এবং এএআরপি (AARP)।

এএআরপি হলো আমেরিকার একটি সংস্থা, যা পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের অধিকার ও কল্যাণে কাজ করে। আগামী ৯ই মে থেকে ভ্যাটিকান সিটিতে শুরু হতে যাচ্ছে এই দুই পক্ষের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন।

সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো বয়স্ক মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা।

সম্মেলনটির নাম দেওয়া হয়েছে “স্মৃতি: একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন, যা বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সুযোগ এবং সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করবে”। প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের আগ্রহের কারণে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে এবং এটি তাঁর প্রতি উৎসর্গীকৃত হবে।

এএআরপি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিয়েচিয়া মিন্টার-জর্ডান জানিয়েছেন, “স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের ক্ষেত্রে এএআরপি’র কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং ভ্যাটিকান বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে জড়িত।

এই সম্মেলনে বয়স্ক মানুষের দৈনন্দিন জীবনের চ্যালেঞ্জগুলো সরাসরি শোনার সুযোগ হবে।” তিনি আরও বলেন, “২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশের বেশি মানুষের বয়স হবে ৬০ বছরের বেশি, যার ৮০ শতাংশই বসবাস করবে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।”

সম্মেলনে আর্থিক নিরাপত্তা, পরিবারে বয়স্কদের যত্ন, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক বিভিন্ন সেশন অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার শেষে একটি ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র (Declaration) স্বাক্ষর করা হবে, যা বয়স্ক মানুষের অধিকার রক্ষার বিষয়ে উভয় পক্ষের অঙ্গীকার তুলে ধরবে।

এই ঘোষণাপত্রটি বয়স্ক জনগোষ্ঠীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।

এই সম্মেলনে দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকা থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

পন্টিফিক্যাল একাডেমি ফর লাইফ এবং ফাউন্ডেশন ইটা গ্রান্ডের প্রেসিডেন্ট আর্চবিশপ ভিনসেঞ্জো পাaglia সম্মেলনের সূচনা করবেন।

তিনি জানান, এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হলো, বিজ্ঞান, নীতিশাস্ত্র এবং আধ্যাত্মিকতাকে একত্রিত করে জীবনের বছরগুলো বাড়ানোর পরিবর্তে কীভাবে সেগুলোকে গুণগত মান, সম্মান এবং টেকসই করার মাধ্যমে আরও উন্নত করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করা।

মিন্টার-জর্ডান আরও বলেন, “এই উদ্যোগ তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎকে আরও সুন্দর করবে। আমাদের বয়স্ক জনগোষ্ঠীর তাৎক্ষণিক চাহিদাগুলো পূরণের জন্য কাজ করতে হবে, যা বর্তমান প্রজন্মের বয়স্কদের উপকার করবে।”

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *