ডিম ভাঙার সঠিক উপায় কী? সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, ডিম ভাঙার সময় ডিমের পাশ দিয়ে পড়লে এটি সহজে ভাঙে না।
সাধারণত, ডিমকে আমরা সবচেয়ে মজবুত মনে করি এর দুই প্রান্তকে। কিন্তু নতুন এই গবেষণায় ডিম নিয়ে প্রচলিত ধারণার পরিবর্তন এসেছে।
এই গবেষণার জন্য বিজ্ঞানীরা প্রায় ২০০টির বেশি ডিম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। তাঁরা ডিমগুলোকে একদিকে এবং অন্যদিকে ফেলে দেখেছেন।
পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, ডিমগুলো যখন তাদের পাশে পড়েছিল, তখন সেগুলোর ভাঙার সম্ভাবনা অনেক কম ছিল।
গবেষকরা ডিমের উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন উচ্চতা থেকে (সর্বোচ্চ ১০ মিলিমিটার) ফেলে এই পরীক্ষাগুলো চালান।
পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে তাঁরা দেখেছেন, ডিমের মাঝের অংশ বা ‘নিরক্ষীয় অঞ্চল’ বেশি নমনীয় হওয়ার কারণে এটি আঘাতের শক্তি বেশি শোষণ করতে পারে, ফলে ডিম সহজে ভাঙে না।
এই গবেষণাটি মূলত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ‘ডিম ফেলার চ্যালেঞ্জ’-এর ধারণা থেকে অনুপ্রাণিত। যেখানে ডিমগুলোকে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতা থেকে ফেলতে হয় এবং ডিম যাতে না ভাঙে, সেই চেষ্টা করতে হয়।
তবে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন, এই নতুন আবিষ্কার সেই ধরনের চ্যালেঞ্জগুলোতে ডিমের সুরক্ষায় কতটা সাহায্য করবে।
গবেষণাটি করেছেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এমআইটি) গবেষক হাডসন বোরজা দা রোচা এবং তাল কোহেন। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (সান দিয়েগো) বিজ্ঞানী মার্ক মেয়ার্স এই গবেষণায় সরাসরি জড়িত ছিলেন না।
গবেষণাপত্রটি ‘কমিউনিকেশনস ফিজিক্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
ডিম সেদ্ধ করার সময় এই গবেষণা কিভাবে কাজে লাগতে পারে, সে বিষয়ে বিজ্ঞানীরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
ডিম সেদ্ধ করার সময় ডিমগুলো কাত করে রাখলে ডিমের ভেতরের অংশ বাইরে আসার সম্ভাবনা কম থাকে। এছাড়া, রান্নার সময় ডিম ভাঙার ক্ষেত্রেও এই গবেষণা নতুন ধারণা দিতে পারে।
তবে, ডিম কিভাবে ভাঙলে কুসুম এবং সাদা অংশ সহজে পাওয়া যায়, সে বিষয়ে এই গবেষণা কোনো পরিবর্তনের কথা জানায়নি।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস