মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির (FEMA) প্রধানের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে ক্যামেরন হ্যামিলটনকে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এর নীতির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মূলত, FEMA-কে ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছিলেন হ্যামিলটন।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মুখপাত্র সিএনএনকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার হ্যামিলটনকে FEMA-র সদর দপ্তর থেকে বিদায় করে দেওয়া হয়। এরপর ডেভিড রিচার্ডসনকে তাৎক্ষণিকভাবে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তবে, হ্যামিলটনকে বরখাস্ত করার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, এর আগের দিন হাউস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস কমিটির সামনে দেওয়া সাক্ষ্যে হ্যামিলটন FEMA-র পক্ষ নিয়ে কথা বলেছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি না, আমেরিকান জনগণের জন্য ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (FEMA) বিলুপ্ত করা উচিত।’
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টিন নোয়েম দীর্ঘদিন ধরেই FEMA-র কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এমনকি FEMA-কে একেবারে ‘উঠিয়ে দেওয়ার’ পক্ষেও মত দিয়েছেন তাঁরা। মঙ্গলবার একই কমিটির কাছে নোয়েম এই বিষয়ে তাঁর আগের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
ট্রাম্পের অভিযোগ, FEMA পক্ষপাতদুষ্ট, অদক্ষ এবং অপ্রয়োজনীয়। তাঁর মতে, FEMA তহবিল ব্যবহারের ক্ষেত্রে ‘উগ্র’ (woke) আদর্শ অনুসরণ করে।
অন্যদিকে, হ্যামিলটন FEMA-র কর্মীদের কাজের প্রশংসা করে বলেছিলেন, ত্রুটিপূর্ণ প্রক্রিয়াগুলো দ্রুত সমাধান করা উচিত।
তাঁর মতে, ছোটখাটো দুর্যোগের ক্ষেত্রে রাজ্যের কর্মকর্তাদেরই দায়িত্ব নেওয়া উচিত।
ট্রাম্প প্রশাসন ফেডারেল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য যোগ্যতার মানদণ্ড বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে, যা প্রেসিডেন্টের অনুমোদন পাওয়া প্রধান দুর্যোগ ঘোষণার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে পারে।
এছাড়াও, সম্প্রতি বেশ কয়েকজন FEMA কর্মকর্তার পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা হয়েছে, মূলত সংবাদ মাধ্যমে খবর ফাঁসের অভিযোগের কারণে।
হ্যামিলটন অবশ্য আইনপ্রণেতাদের বলেছিলেন, FEMA-তে চলমান সংস্কারগুলো ধীরে ধীরে এবং সতর্কতার সঙ্গে করা উচিত।
তথ্য সূত্র: CNN