আতঙ্ক! টেড বান্ডিকে নিয়ে ইন্টারনেটে কী খুঁজছিলেন ব্রায়ান কোহবারগার?

যুক্তরাষ্ট্রের একটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্রায়ান কোহবার্গারের বিরুদ্ধে নতুন কিছু তথ্য সামনে এসেছে। জানা গেছে, তিনি ইদাহো বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষার্থীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের আগে ও পরে অনলাইনে কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার টেড বান্ডি এবং জোরপূর্বক যৌন নির্যাতনের বিষয়গুলো অনুসন্ধান করেছিলেন।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানা গেছে। প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ব্রায়ান কোহবার্গার, যিনি বর্তমানে এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে অভিযুক্ত, সম্ভবত “জোরপূর্বক,” “অচেতন,” “মাদকদ্রব্য দেওয়া হয়েছে,” এবং “ঘুমন্ত” – এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি খুঁজেছিলেন।

এই তথ্যগুলো আগামী শুক্রবার, ৯ই মে, ‘ডেটলাইন’ নামক একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে প্রচারিত হওয়ার কথা রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, কোহবার্গার সম্ভবত একজন শিক্ষক সহায়ক হিসেবে কাজ করতেন, তাই টেড বান্ডি সম্পর্কে তার এই আগ্রহ থাকতে পারে।

কারণ, বান্ডির ঘটনা সম্পর্কে পড়ানো হতো এমন একটি অপরাধ বিজ্ঞান ক্লাসে তিনি শিক্ষকতা করতেন। এছাড়াও, তার মায়ের লেখা টেড বান্ডি সম্পর্কিত একটি প্রবন্ধ অনলাইনে খুঁজে বের করারও চেষ্টা করেছিলেন তিনি।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলের কাছাকাছি কোহবার্গারের মোবাইল ফোনের টাওয়ারের সংযোগ পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়াও, ঘটনার আগে ও পরের সময়ের একটি ভিডিও ফুটেজে কোহবার্গারের গাড়ির অনুরূপ একটি গাড়ির ছবি পাওয়া গেছে।

ঘটনার দিন নিহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলেন ম্যাডিসন মোগেন, কাইলে গানকালভেস, জেনা কার্নোডল এবং ইথান চাপিন। তবে, ব্রায়ান কোহবার্গারের আইনজীবী জানিয়েছেন, ঘটনার রাতে কোহবার্গার একাই গাড়ি চালাচ্ছিলেন এবং তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন।

কোহবার্গারের বিচার আগামী ১১ই আগস্ট আদা কাউন্টিতে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছেন এবং তার আইনজীবীরাও তার পক্ষে সাফাই গাইছেন।

আদালত সূত্র থেকে জানা যায়, এই মামলার বিষয়ে বিচারক কোনো অতিরিক্ত মন্তব্য করতে নিষেধ করেছেন। ব্রায়ান কোহবার্গারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে। তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *