ভিডিও গেমের দুনিয়ায় ঝড়! হল অফ ফেমে জায়গা করে নিল কারা?

বিশ্বের ভিডিও গেম হল অফ ফেম-এ জায়গা করে নিল ‘ডিফেন্ডার’, ‘ট্যামাগোচি’, ‘গোল্ডেনআই ০০৭’ এবং ‘কোয়েক’ এর মতো জনপ্রিয় গেমগুলো। গেম খেলার জগতে অবদান রাখা এই চারটি গেমকে সম্মানিত করতে ২০২৩ সালের এই সম্মাননা দেওয়া হয়।

১৯৮১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ডিফেন্ডার’ গেমটি কঠিন চ্যালেঞ্জ এবং জটিলতা নিয়ে আসে, যা খেলোয়াড়দের গেমিংয়ের অন্য এক স্বাদ দেয়। সেই সময়ে এই গেমটি এতটাই জনপ্রিয়তা লাভ করে যে, এটি গেমারদের মধ্যে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করে।

এরপর ১৯৯৬ সালে আসে ‘ট্যামাগোচি’, যা খেলোয়াড়দের ভার্চুয়াল পোষা প্রাণী দেখাশোনার সুযোগ করে দেয়। ডিম্বাকৃতির এই ডিজিটাল খেলনাটিতে বোতাম টিপে ভার্চুয়াল প্রাণীটিকে খাওয়াতে, খেলা করতে এবং পরিষ্কার করতে হতো।

অন্যদিকে, ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘গোল্ডেনআই ০০৭’ গেমটি ছিল নিনটেন্ডো ৬৪-এর জন্য তৈরি একটি প্রথম-ব্যক্তি শ্যুটার গেম। এটি মূলত জেমস বন্ড সিরিজের চলচ্চিত্র ‘গোল্ডেনআই’ অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছিল।

এই গেমে মাল্টিপ্লেয়ার মোড ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়, যা পরবর্তীকালে মাল্টিপ্লেয়ার গেমের ধারণাকে প্রভাবিত করেছে।

১৯৯৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কোয়েক’ গেমটি তৈরি হয়েছে নতুন 3D ইঞ্জিন ব্যবহার করে। এটি সেই সময়ের গেমিং দুনিয়ায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। এর কোড এখনো আধুনিক গেমগুলোতে ব্যবহৃত হয়, যা এর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের প্রমাণ।

এই বছর হল অফ ফেমের জন্য মনোনীত হওয়া ১২টি গেমের মধ্যে আরো ছিল ‘এজ অফ এম্পায়ারস’, ‘অ্যাংরি বার্ডস’, ‘কল অফ ডিউটি ৪: মডার্ন ওয়ারফেয়ার’, ‘ফ্রগger’, ‘গোল্ডেন টি’, ‘হার্ভেস্ট মুন’, ‘ম্যাটেল ফুটবল’, এবং ‘এনবিএ ২K’।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ‘দ্য স্ট্রং ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ প্লে’-তে অবস্থিত এই হল অফ ফেম প্রতি বছর বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের (যেমন: আর্কেড, কনসোল, কম্পিউটার, হ্যান্ডheld এবং মোবাইল) গেমগুলোকে সম্মানিত করে, যেগুলো গেমিং শিল্প এবং সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে।

এই স্বীকৃতির মাধ্যমে গেমগুলোর উদ্ভাবনী ক্ষমতা এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্বকে তুলে ধরা হয়।

তথ্য সূত্র:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *